শেষ আপডেট: 22nd July 2024 18:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিহারের জন্য বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা চেয়েছিলেন নীতীশ কুমার। কিন্তু তাঁর সেই আর্জি পত্রপাট খারিজ করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। নীতীশের দাবি ছিল, বাজেটে বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিয়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু এই তাঁর এই আবেদন মান্যতা পায়নি।
কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, বেশ কিছু শর্তে অতীতে একাধিক রাজ্যকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিহার সেই সব শর্তের আওতায় পড়েনি। তাই এই আর্জি মানা সম্ভব নয়। রবিবার দিল্লিতে সর্বদল বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকেই নীতীশ কুমারের সরকারের তরফে কেন্দ্রের কাছে এই আর্জি জানিয়েছিলেন জনতা দল ইউনাইটেডের সাংসদ সঞ্জয় ঝাঁ।
১৯৬৯ সালে পঞ্চম ফিন্যান্স কমিশন বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার নিয়ম চালু করেছিল। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষ পর্যন্ত দেশের ১১টি রাজ্য এই বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা পেয়ে কেন্দ্রের থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। তবে বর্তমানে পঞ্চাদশ ফিন্যান্স কমিশনের সময় নতুন করে কোনও রাজ্যকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া যায় না। এখন বিষয় হল, কেন্দ্রীয় সরকার যে এই মর্যাদা দিতে পারে না সেটা নীতীশ কুমার ভাল করেই জানেন। তাহলে তিনি কেন বিহারের জন্য এই আবেদন করলেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা ভোটের আগে নীতীশ কুমারের এনডিএ শিবিরে ফিরে আসার অন্যতম মূল কারণ ছিল বিহারের জন্য বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা চাওয়া। সেই মতো বাজেট অধিবেশনের আগে সর্বদল বৈঠকে তার আর্জিও করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বিজেপির জোট শরিক হিসেবে তাদের চাপে রাখার কৌশল করেছেন নীতীশ। এখন তাঁদের আর্জি যেহেতু মানা হয়নি তাই ভবিষ্যতে এনডিএ ছেড়ে যদি নীতীশ কুমার আবার শিবির বদল করেন, তাহলে এটাই হবে তাঁর 'অস্ত্র'। এখন দেখার কেন্দ্রীয় বাজেটে বিহারের দাবি পূরণ না হলে নীতীশ কুমার কী পদক্ষেপ করেন।