ভারতীয় সেনায় নয়া নিয়মকে রণকৌশল হিসাবেই দেখছেন অনেকে।
তিন বাহিনী যাতে যৌথ ভাবে দ্রুত কাজ করতে পারে, সেই লক্ষ্যেই নয়া নিয়ম।
শেষ আপডেট: 28 May 2025 08:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পহলগামে জঙ্গি হানার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে বেশ কয়েকটি জঙ্গি ঘাঁটি ও বায়ুসেনা শিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর সংঘাতে জড়ায় নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদ। সেই সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে রণকৌশলগত বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার। ২ বছরের পুরনো পাশ হওয়া আইন গতকাল, মঙ্গলবার, ২৭ মে থেকে কার্যকর করা হল।
বিশেষ রণকৌশলটি হল, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী মিলিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা বা নেতৃত্বদানকারী একটি সমন্বয়কারী কমান্ড ব্যবস্থার প্রবর্তন হল। এতে যে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে তিন বাহিনীর যৌথ এই কমান্ড সিস্টেম দায়িত্ব তুলে নিয়ে একসঙ্গে তিন বাহিনীকে পরিচালনা করবে।
২০২৩ সালের বাদল অধিবেশনে এই নিয়ম সংক্রান্ত ‘ইন্টার-সার্ভিসেস অর্গনাইজ়েশন’ বিল পাশ হয়েছিল সংসদের দুই কক্ষে। এর পর ওই বছর অগস্ট মাসে রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর তা আইনে পরিণত হয়। ভারতীয় সেনায় ওই আইন কার্যকর হয় গত বছর ১০ মে। এ বার জারি হল বিধি।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী যাতে যৌথ ভাবে দ্রুত কাজ করতে পারে, সেই লক্ষ্যেই নয়া নিয়ম। সরকার জানিয়েছে, সীমান্তে তিন বাহিনী একসঙ্গে কাজ করলেও তারা যে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম মেনে চলে, তাতে কোনও বদল হবে না।
সরকারি সূত্রে খবর, এত দিন সীমান্তে জরুরি পরিস্থিতিতে তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় অত্যন্ত ধীর গতিতে হতো। নতুন নিয়মে তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ, তিন বাহিনীই এক কমান্ডারের অধীনে কাজ করবে। ফলে এতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, নেতৃত্বে থাকা কমান্ডারই নেবেন। যৌথ অপারেশনেও কোনও দ্বন্দ্ব বা বিভ্রান্তির জায়গা থাকবে না।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের আবহে সবচেয়ে সক্রিয় ছিল ভারতীয় সেনার পশ্চিম এবং উত্তর কমান্ড। সরকারি সূত্রে খবর, চলতি পরিস্থিতিতেও পাক সীমানার কাছাকাছি থাকা ওই দুই কমান্ডেই নতুন নিয়ম কার্যকর করা হবে। বাকি সীমান্তগুলিতে চালু হবে পরে। সেই আবহে ভারতীয় সেনায় নয়া নিয়মকে রণকৌশল হিসাবেই দেখছেন অনেকে।