শেষ আপডেট: 23rd August 2024 11:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অসুস্থ হলে ওষুধ খাবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর! এমনই ১৫৬টি ওষুধ নিষিদ্ধ করে দিল কেন্দ্র! তালিকায় রয়েছে জ্বর, সর্দি, অ্যালার্জি এবং ব্যথায় ব্যবহৃত ওষুধ। কেন্দ্রীয় বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এই ওষুধগুলি মানুষের শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক।
যে ওষুধগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলি ফিক্সড-ডোজ কম্বিনেশন বা এফডিসি ওষুধ। নির্দিষ্ট অনুপাতে দুই বা ততোধিক সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদানগুলির সংমিশ্রণে তৈরি ওষুধগুলিকেই চলতি ভাষায় 'ককটেল' ওষুধ বলা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মেফেনামিক অ্যাসিড + প্যারাসিটামল ইনজেকশন, লিভোসেট্রিজাইন + ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল + প্যারাসিটামল, ক্যামিলোফিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড ২৫ এমজি + প্যারাসিটামল ৩০০ এমজি, প্যারাসিটামল + ক্লোরফেনির্মাইন মালেট + ফেনিল প্রোপানোলামিন সহ একাধিক ওষুধ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই 'ককটেল' ওষুধ নিয়ে ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্য ছাড়াই অনেক ওষুধ কোম্পানি এই ওষুধ তৈরি করছে এবং তা বাজারেও ছাড়া হচ্ছে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণের পর কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের ৩৪৪টি ওষুধকে সেই সময়ে নিষিদ্ধ করে। এর আগে প্যারাসিটামল সহ অন্তত ৫০টি ওষুধের মান নিয়ে সংশয় দেখা গেছিল। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বলছিল, এর বেশিরভাগই নিম্নমানের ওষুধ। তাই তারা সতর্কতা জারি করেছিল।
ঠিক কোন কোন ওষুধ নিয়ে সতর্কতা জারি হয়েছে? সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, খিঁচুনি এবং উদ্বেগজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ক্লোনাজেপাম ট্যাবলেট, অ্যান্টি-হাইপারটেনশন ড্রাগ টেলমিসার্টন সহ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসার জন্যে ব্যবহৃত বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক এবং কিছু মাল্টিভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটের মান খারাপ। এগুলি ব্যবহার করার আগে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।