শেষ আপডেট: 12th July 2024 12:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আইএএস হয়েই বিতর্কে জড়িয়ে পড়া পূজা খেড়করের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২২ সালের ব্যাচের আইএএস উত্তীর্ণ হওয়া পূজার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ক্ষমতা অপব্যবহার করেছেন এবং বিশেষভাবে সক্ষম ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া হিসেবে ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করে চাকরি পেয়েছেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রবেশনারি আইএএস পূজাকে রাতারাতি বদলি করেও দেওয়া হয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকার এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ে দিল।
এই কমিটি পূজার দাখিল করা ভুয়ো শংসাপত্র ও ইন্টারভিউয়ের সময় তা স্ক্রুটিনির বিষয়টি তদন্ত করবে। অন্যদিকে, আইএএস অ্যাকাডেমি পৃথকভাবে প্রবেশন অবস্থায় পূজার আচরণবিধি নিয়ে খতিয়ে দেখছে। যুগ্মসচিব পর্যায়ের এক সদস্যের এই তদন্ত কমিটি দুই সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে বলে নিউজ এইটটিনকে উচ্চপদস্থ এক সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, পুনে ট্রাফিক পুলিশ পূজার ব্যক্তিগত অডি গাড়িতে লাল-নীল বাতি লাগানো ও মহারাষ্ট্র সরকার লিখে রাখার জন্য পৃথক আরেকটি নোটিস পাঠিয়েছে। নোটিসে শীঘ্রই ওই ব্যক্তিগত গাড়ি ট্রাফিক অফিসে সমস্ত বৈধ কাগজপত্র নিয়ে হাজির করতে হবে। বিধিভঙ্গের জন্য গাড়ির মালিককে ২১ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
পূজার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আইএএস উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ার নাটক করেছেন! আংশিকভাবে দৃষ্টিহীন ক্যাটেগরি এবং অন্যান্য অনগ্রসর ক্যাটেগরির আওতায় ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন। এই ঘটনায় এখন তোলপাড় দেশ।
ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনে পূজা যে যে সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন তার সবকটিই ভুয়ো বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি নিজেকে আংশিক দৃষ্টিশক্তিহীন এবং মানসিকভাবে অসুস্থ বলে দাবি করেছিলেন। এইসব তথ্যের ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীরা ইউপিএসসি-র তরফে বিশেষ সুবিধা পান। তাই পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ার পরও পূজা ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৮২১ র্যাঙ্ক করেছিলেন। যদিও পরীক্ষায় পাশ করার পর যখন তাঁকে মেডিক্যালেও পাশ করতে হত, সেই সময়ে তিনি কোনও মেডিক্যাল টেস্ট দিতে যাননি বলে অভিযোগ।
পূজাকে অন্তত ৬ বার মেডিক্যালের জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই তিনি নানা অজুহাতে সেই টেস্ট দিতে যাননি। ২০২২ সালে একাধিকবার তিনি মেডিক্যাল পরীক্ষা এড়িয়ে গেছিলেন। দিল্লির এইমস থেকে তাঁকে ডাকা হলেও তিনি নিজেকে করোনা পজিটিভ দাবি করে সেই পরীক্ষা এড়ান।
পরবর্তী সময়ে বাইরের একটি সেন্টার থেকে এমআরআই রিপোর্ট ইউপিএসসি-তে জমা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা নাকচ করে দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, পরিবারের রাজনৈতিক যোগাযোগের সুবিধা নিয়ে সেই রিপোর্ট পাশ করিয়ে নিয়েছিলেন পূজা। এরপর প্রবেশনারি আইএএস অফিসার হিসেবে কাজ শুরু করেন। তবে হালে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
শুরুতে মহারাষ্ট্রের পুনেতে অ্যাসিসট্যান্ট কালেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। তবে পূজার বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রবেশন অবস্থায় অফিসারদের যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা নয়, সেগুলি নিচ্ছিলেন তিনি।