শেষ আপডেট: 10th September 2024 14:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আবারও এক রেল দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। কিন্তু কোনও রকমে বাঁচল মালগাড়ি। একদিন আগেই উত্তরপ্রদেশে রেললাইনের ওপর রাখা হয়েছিল একটি এলপিজি সিলিন্ডার। ভাগ্যক্রমে বেঁচেছে যাত্রীবাহী কালিন্দি এক্সপ্রেস। এবার রাজস্থানের অজমেরে মালগাড়ি যাওয়ার লাইনে রাখা হল ৭০ কেজি ওজনের সিমেন্টের চাঁই! যদিও বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।
রেল সূত্রে জানা গেছে, অজমেরের ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের (ফুলেরা-আমদাবাদ) সারাধনা ও বঙ্গদ রেল স্টেশনের মাঝের লাইনে দুটি সিমেন্টের চাঁই রাখা হয়েছিল। তাদের মিলিত ওজন প্রায় ১৪০ কেজি। তার একটিতেই এসে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। যদিও চালকের উপস্থিত বুদ্ধির জেরে বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি, ট্রেনেরও বিশেষ ক্ষতি হয়নি। কিছুটা দুর থেকেই তিনি সিমেন্টের বড় বড় চাঁই দেখতে পেয়েছিলেন। তাই ট্রেনের গতি কমিয়ে দেন।
রেলওয়ে আধিকারিকরা মনে করছেন, মালগাড়ি লাইনচ্যুত করার উদ্দেশেই এই কাজ করেছিল দুষ্কৃতীরা। পুরোটাই যে পরিকল্পনা করে করা হয়েছিল তা বোঝা গেছে কারণ দুটি সিমেন্টের চাঁই এক জায়গায় ছিল না। যে চাঁইয়ে ট্রেন ধাক্কা মারে সেটি দু-টুকরো হয়ে গেছিল। তার কিছু দূরে আরও একটি সিমেন্টের চাঁই পেয়েছেন রেলের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন রেল পুলিশ, আরপিএফ।
সোমবারই উত্তরপ্রদেশের কানপুরের কাছে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় কালিন্দি এক্সপ্রেস। প্রয়াগরাজ থেকে হরিয়ানার ভিওয়ানির দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। কানপুরের কাছাকাছি এলাকায় রেললাইনের ওপর রাখা ছিল একটি এলপিজি সিলিন্ডার, তার পাশে পেট্রোল এবং দেশলাই! তাতে সজোরে ধাক্কা মারে ট্রেন। সিলিন্ডারটি অন্তত ৫০-৬০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে। এরপর এমারজেন্সি ব্রেক মেরে ট্রেন থামাতে সক্ষম হন চালক। লাইনের পাশের জঙ্গলে কয়েকজন বসে ছিল বলে দাবি করেছেন একাধিক ট্রেন যাত্রীরা।
রেলের তরফে অবশ্য বলা হচ্ছে, পরপর ট্রেন দুর্ঘটনা চিন্তার বিষয় হলেও এখানে জঙ্গি হামলার কোনও আতঙ্ক নেই। শেষ কয়েক মাসে যে কটি রেল দুর্ঘটনা হয়েছে সেগুলির কোনওটাই জঙ্গি হামলার কারণে হয়নি। তাঁদের বরং দাবি, কিছু মানুষ নিজেদের ফুর্তির জন্য রেললাইনগুলিতে অনেক জিনিস ফেলে রাখেন। তার কারণ দুর্ঘটনা ঘটে।
রেলের তথ্য বলছে, বেশিরভাগ ২০-২২ বছরের ছেলেরা মদ খেয়ে ট্রেনে হামলা করে। সাম্প্রতিক সময়ে বন্দে ভারত থেকে শুরু করে শতাব্দী এক্সপ্রেসে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তার জন্য এরাই দায়ী। কে কত বেশি ট্রেনের ক্ষতি করতে পারে এমন প্রতিযোগিতাও তাদের মধ্যে চলে বলে জানিয়েছে রেল।