শেষ আপডেট: 28th October 2024 16:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার উত্তরপ্রদেশের কানপুরে জেলা শাসকের বাংলো থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। এবার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এনে পুলিশের দাবি, মৃত্যুর দিন শেষবারের মতো উত্তরপ্রদেশের কানপুরের জিমেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর দিনও মহিলা জিমে এসেছিলেন। তাঁর পরনে লাল টি শার্ট ও কালো প্যান্ট। কিট ব্যাগ কাঁধে নিয়ে তাঁর জিমে আসার ভিডিও সামনে এলেও সেখান থেকে বেরনোর কোনও ফুটেজ দেখা যায়নি। এরপর থেকে মহিলাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ।
গত শনিবারই নিখোঁজ হওয়ার চার মাসের মাথায় উত্তরপ্রদেশের কানপুরে জেলাশাসকের বাংলো থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশি তদন্তে মনে করা হচ্ছে, তাঁকে চার মাস আগেই খুন করেছিল পেশায় জিম ট্রেনার কানপুরের রায়পুরওয়ার বাসিন্দা বিমল সোনি। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে মহিলাকে পুঁতে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু মাস আগে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়। যা নিয়ে এই মহিলা খুশি ছিলেন না। সম্পর্কে তিক্ততার শুরু সেখান থেকেই। এই নিয়ে ঝামেলা চলছিল বলেই জানায় তাঁদের পরিচিতরা। এরপরই জুন মাসের ২৪ তারিখ থেকে মহিলা নিখোঁজ হয়ে যান।
পরে পুলিশকে বিমল সোনি জানান, জুন মাসে প্রায় ২০ দিন ওই ব্যবসায়ী পত্নী জিমে আসেননি। তারপর ২৪ জুন আচমকা হাজির হন। এরপর কথা বলতে তাঁরা দুজনই এরপর একটি গাড়িতে করে বের হন জিম থেকে। গাড়িতেই বচসা হয়। কিন্তু পুলিশ জানতে পেরেছেন জিম ট্রেনার যা বলেছেন তার পুরোটাই মিথ্যে। কারণ মহিলা নিখোঁজ হওয়ার দিন তাঁকে জিমে যেতে দেখা গিয়েছে।
বিমল পরে স্বীকার করে, বচসা চলাকালীন গলায় ঘুষি মারলে মহিলা অজ্ঞান হয়ে যান। এরপরই তাঁকে খুন করে পুঁতে দেওয়া হয় জেলা শাসকের বাংলোয়। এমন ঘটনা সামনে আসতেই অজয় দেবগনের বলিউড সিনেমা ‘দৃশ্যম’-এর কথা উল্লেখ করেছেন অনেকেই। ওই সিনেমায় এক নির্মীয়মাণ থানার তলায় এক পুলিশ আধিকারিকের ছেলেকে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ খোঁজ করেও তাঁর নাগাল পায়নি।