শেষ আপডেট: 8th March 2025 15:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোনা পাচার কাণ্ডে বিরাট মোড়! কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাও কি নতুন করে সঙ্কটে পড়তে চলেছেন? সোনা পাচারের অভিযোগে অভিনেত্রীকে ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স গ্রেফতার করার পর সিবিআই তদন্তভার নিচ্ছে। একটি সংবাদমাধ্যম সূত্র মারফত জানাচ্ছে, সিবিআইয়ের একটি দল বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে গিয়েছে। যারা এবার প্রাথমিক তদন্তকারী সংস্থা ডিআরআইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।
সূত্রের দাবি, ডিআরআইয়ের কাছ থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে সিবিআই এই তদন্তকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। সোনা পাচারের সঙ্গে দেশে ও আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও চক্র রয়েছে কিনা তারও হদিশ চালাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আরও জানা গিয়েছে, সোনা পাচার নিয়ে সিবিআই একটি মামলাও দায়ের করেছে। বেঙ্গালুরু ছাড়াও মুম্বই বিমানবন্দরেও সিবিআই আর একটি টিম পাঠিয়েছে। এই অবস্থায় প্রয়োজনে সিবিআই রানিয়া রাওকেও হেফাজতে চাইতে পারে। ডিআরআই অফিসারদের সন্দেহ, রানিয়া এই পাচারচক্রের মক্ষীরানি। তিনি তাঁর জিডিপি বাবার পরিচয়কে ব্যবহার করে বিমানবন্দরে তল্লাশি এড়িয়ে চলে আসতেন। সিবিআই বিভিন্ন বন্দরে এই বিষয়টির উপরেও নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, সোনা পাচারে অভিযুক্ত জনপ্রিয় কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাওকে জেরার সময় মারধর করা হয়েছে? আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মুখে এই প্রশ্নেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে মহিলাদের সম্পর্কে দেশের আইন ব্যবস্থা নিয়ে। আদালতের নির্দেশে ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্সের হেফাজতে থাকা রানিয়ার চোখের নীচে ফোলা, কালশিটে দাগের ছবি ভাইরাল হতেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে তদন্তকারী সংস্থা। রানিয়ার যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তাতে পরিষ্কার যে, অভিনেত্রীকে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতারের সময় অথবা হেফাজতে থাকাকালীন শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কর্নাটকের রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন নাগলক্ষ্মী চৌধুরি বলেন, কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত চালাতে পারে না। অভিনেত্রীর তরফে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করা হলে তখনই কমিশন পদক্ষেপ করতে পারে। তবে তিনি এও বলেন, যদি কেউ তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করে থাকেন তাহলে তাঁর এরকম করা উচিত নয়। এটা ঠিক নয়। কেউ আইন নিজের হাতে নিতে পারে না। আইন আইনের পথে চলবে। তবে হেফাজতে কারও উপর নির্যাতন করার অধিকার কারও নেই। তা সে মহিলাই হন, বা অন্য কেউ। আমি অত্যাচারের পুরোপুরি বিরোধী।
তিনি আরও বলেন, রানিয়া কমিশনের কাছে অভিযোগ জানালে তাঁরা অবশ্যই পদক্ষেপ করবেন। উনি তা না করলে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখতে পারি যাতে তাঁকে সাহায্য করা হয়, যথার্থ তদন্ত চালানো হয় এবং একটি রিপোর্ট দিতে বলতে পারি আমরা। কিন্তু, উনি কোনও অভিযোগ না করায় আমি এর বেশি কিছু বলব না। যদিও ডিআরআইয়ের দাবি, রানিয়া বলেছেন যে তিনি দুবাই যাওয়ার আগেই তাঁর চোখে-মুখে এই দাগ ছিল। কিন্তু কেন, তা স্পষ্ট জানাননি তিনি।