শেষ আপডেট: 19th July 2024 07:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় লাইনচ্যুত হয়ে যায় ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস। রেল সূত্রে খবর, ৮টি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। আহতের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে কীভাবে এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছে। কারণ ট্রেনের লোকো পাইলটের দাবি, দুর্ঘটনার আগে তিনি 'বিস্ফোরণ'-এর আওয়াজ পেয়েছিলেন।
বুধবার রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে চণ্ডীগড় থেকে ছেড়েছিল ট্রেনটি। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ গোন্ডা ও বস্তির মধ্যে ঝিলাহি স্টেশনের কাছে পৌঁছলে তা লাইনচ্যুত হয়। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেনের দুই লোকো পাইলটই সুরক্ষিত আছেন। এদিকে তাঁরা যে দাবি করেছেন সেই নিয়ে এখন তোলপাড়। লোকো পাইলটদের দাবি, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার আগে তারা 'বিস্ফোরণ'-এর শব্দ পেয়েছিলেন। যাত্রীদের একাংশেরও দাবি, তারা বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন।
তাহলে কি এই দুর্ঘটনার পেছনে ফের নাশকতার সম্ভাবনা থাকতে পারে? এমন প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবে উঠে গেছে। বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অবশ্য লোকো পাইলটদের দাবি মানতে চায়নি। তাঁদের স্পষ্ট কথা, ট্রেন দুর্ঘটনার আগে কোনও বিস্ফোরণই হয়নি। তবে লোকো পাইলটরা বা যাত্রীদের একাংশ কীসের আওয়াজ শুনলেন তা নিয়ে ধন্দ।
ইতিমধ্যে রেলের তরফে এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ২.৫ লক্ষ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ট্রেনটির চারটি এসি কোচ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। দুটি বগি সম্পূর্ণ উল্টে গিয়েছে।
এর আগে গত ১৭ জুন শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে একটা মালগাড়ি। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের পর নীচবাড়ি ও রাঙাপানি স্টেশনের মধ্যে ঘটে যায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মৃত্যু হয়েছিল ৩০০-রও বেশি রেলযাত্রীর। পরপর রেল দুর্ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে রেল নিরাপত্তা নিয়ে। বিরোধীরা আক্রমণ করছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।