শেষ আপডেট: 7th September 2024 14:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শিশু কোনও সম্পত্তি নয় যাকে ইচ্ছেমতো এদিক ওদিক পাঠানো যাবে করা যাবে। কাস্টডির ভার শিশুটির উপর, তার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কেমন প্রভাব ফেলবে তা বিবেচনা করা দরকার। কাস্টডি নিয়ে একটি হেবিয়াস করপাস পিটিশনের উত্তরে এমনটাই জানাল দেশের শীর্ষ আদালত।
কিছুদিন আগে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল হয়, একটি ২ বছর ৭ মাসের শিশুর কাস্টডি নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ায় পিটিশনটি শীর্ষ আদালতে আসে। জানা যায়, শিশুটির যখন ১১ মাস বয়স তখন তার মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তারপর থেকে সে মাসির কাছেই রয়েছে। মাসিকেই চিনেছে সে এবং তার কাছেই বড় হচ্ছে।
সম্প্রতি শিশুর কাস্টডি চেয়ে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে যায় শিশুটির বাবা। হাইকোর্ট শিশুটিকে তার বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে এই বিষয়টি শীর্ষ আদালতে পৌঁছায় এবং শীর্ষ আদালত সেসময় হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়।
গতকাল পিটিশনটি সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। বিচারপতি এ এস ওকা এবং এ জি মাসিহ-র বেঞ্চ জানায়, এই ধরনের বিষয় মানবিকতা দিয়ে বিচার করা দরকার। শিশু কোনও 'স্থানান্তরযোগ্য সম্পত্তি' নয়। তার মানসিক অবস্থার কথা না ভেবে তাকে চাইলেই আজ এখানে কাল ওখানে পাঠানো যায় না।
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, হাইকোর্ট শিশুর মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করেনি। মায়ের পরে সাধারণভাবেই অভিভাবক হিসেবে যেহেতু বাবার নামই আসে তাই শুধু সেটা মাথায় রেখেই নিয়ম অনুযায়ী শিশুটির কাস্টডি তার বাবাকে দিয়েছে। কিন্তু যখন কোনও শিশুর কাস্টডি নিয়ে কথা উঠছে তখন অবশ্যই সবার উপরে তার সুরক্ষা ও তার ভাল থাকার বিষয়টি আসে। শিশুর ভাল থাকা বা সুরক্ষার উপরে আর কিছু নয়।
বিচারপতি জানান, পিটিশনটি ভারতীয় দণ্ডবিধির ২২৬ নং ধারায় পড়ে। কিন্তু শিশুটির কম বয়স-সহ কিছু নির্দিষ্ট বিষয় মাথায় রেখে এই ধারায় এই পিটিশনটি বিবেচনা না করলেই ভাল। বলেন, "শিশুটি তার বাবা বা সেই পরিবারকে কাউকে দেখেনি এক বছরের উপর। এই পরিস্থিতিতে যার কাছে সে বড় হচ্ছে তার থেকে সরিয়ে নতুন জায়গায় নিয়ে গিয়ে রাখলে শিশুটি কিছুই বুঝে উঠতে পারবে না।"
আদালত জানায়, বাচ্চাটির সঙ্গে তার বাবা দেখা করতে পারবে ১৫ দিনে একবার করে।