শেষ আপডেট: 9th November 2024 10:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কানাডায় রয়েছে। অবশেষে ভারতের এই দাবিকে মান্যতা দিলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। দীর্ঘদিন ভারতের দাবিকে অস্বীকার করে এসেছে কানাডা সরকার। কানাডায় ঘাঁটি গেড়ে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী খলিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে, বারবার এই অভিযোগ তুলেছে নয়াদিল্লি।
উল্টে কানাডা বলে এসেছে যে, সেদেশের মাটিতে ঢুকে কানাডার নাগরিকদের হত্যালীলা চালিয়ে যাচ্ছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। কিন্তু, শেষমেশ আমেরিকায় পট পরিবর্তনের পর আচমকা খোদ প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো কানাডায় খলিস্তানপন্থীদের উপস্থিতির কথা মেনে নিয়ে বোমা ফাটালেন।
তবে ট্রুডোর মতে, তারা কানাডায় বসবাসকারী সামগ্রিক শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে না। অর্থাৎ একবাক্যে খলিস্তানপন্থী ও শিখ সম্প্রদায়কে আলাদা করে দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। ভারতও বরাবর এই একই কথা বলে আসছে। খলিস্তানপন্থীরা একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি। যাদের সঙ্গে আপামর শিখ সম্প্রদায়ের কোনও মানসিক যোগাযোগ নেই। কারণ কানাডার বিরুদ্ধে ভারতের একমাত্র অভিযোগ, সেদেশের সরকার খলিস্তানপন্থীদের আশ্রয় ও মদত জুগিয়ে চলেছে।
ট্রুডো আরও বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভক্তরাও কানাডায় রয়েছেন। কিন্তু, তাঁরাও সকলে সামগ্রিকভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নন। কানাডার রাজধানী ওটাওয়ার পার্লামেন্ট হিলে দেওয়ালি উৎসব পালনের এক অনুষ্ঠানে ট্রুডো হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তাঁর কথায়, কানাডায় অনেক খলিস্তান সমর্থক রয়েছেন। কিন্তু, তাঁরা সকলে শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নন। তেমনই মোদী সরকারের সমর্থক অনেকে কানাডায় থাকেন, তাঁরাও সকলে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নন।
২০২৩ সালের ১৮ জুন সুরে-র ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় এক গুরুদ্বারের বাইরে খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের পর থেকে ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। কানাডা এই খুনের পিছনে ভারতের হাত আছে বলে অভিযোগ তোলে। গত মাসে সেই সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে যখন কানাডা ভারতের দূতাবাস কর্মীদের বিরুদ্ধে নিজ্জর খুনের মামলায় সন্দেহভাজনের তালিকায় রাখে।