শেষ আপডেট: 1st February 2025 11:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দেশের চিকিৎসাশিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে শনিবার বাজেট বক্তৃতায় বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitaraman)। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী এক বছরে ১০,০০০টি নতুন মেডিক্যাল স্নাতক (MBBS) ও স্নাতকোত্তর (PG) আসন সংযোজিত হবে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, পরবর্তী পাঁচ বছরে মোট ৭৫,০০০টি আসন বাড়ানো হবে।
নির্মলার দাবি, কেন্দ্রে মোদী সরকার গঠনের পর গত দশকে ভারতের চিকিৎসাশিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে। ২০১৪ সালের আগে যেখানে দেশে ৫১,৩৮৪টি MBBS আসন ছিল, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,১২,১১২টিতে। একইভাবে, PG আসনের সংখ্যা ৩১,১৮৫ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭২,৬২৭-এ পৌঁছেছে।
তবে, নির্মলা এই ঘোষণা করলেও মেডিকেলে আসন বাড়ানোর ক্ষেত্রে নতুন কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে। জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন (NMC) চিকিৎসাশিক্ষার গুণমান বজায় রাখতে শিক্ষক-নিয়োগ নীতির উপর কড়াকড়ি শুরু করেছে। তাতে দেখা গেছে বেশ কিছু কলেজে পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব রয়েছে। বিশেষ করে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলি একাংশ মুনাফা কামানোর মেশিনে পরিণত হয়েছে বলেও অভিযোগ। এছাড়া, চিকিৎসা আসনের ভৌগোলিক বণ্টনেও ভারসাম্যের অভাব রয়েছে। কর্ণাটক ও পুদুচেরির মতো কিছু রাজ্যে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আসন থাকলেও, অন্য রাজ্যগুলিতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
এই পরিস্থিতি সামলাতে NMC প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যার জন্য ১০০টি MBBS আসনের নিয়ম চালু করেছিল, তবে কিছু রাজ্য তাদের নির্ধারিত আসনের সীমা অতিক্রম করায় এই নিয়ম স্থগিত রাখা হয়েছে। মূলত, সরকারি কলেজের তুলনায় বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলির সংখ্যাধিক্যের কারণেই এই অসাম্য তৈরি হয়েছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষাতেও এই বিষয়গুলোর উল্লেখ করা হয়েছে।
চিকিৎসাশিক্ষার প্রসার নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্য খাতের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে, নতুন আসন সংযোজনের পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষার নিশ্চয়তা, শিক্ষক-সংকট দূরীকরণ, এবং রাজ্যভিত্তিক সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।