নির্মলা সীতারামন।
শেষ আপডেট: 1st February 2025 18:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে আয়কর হার ও স্ল্যাবে বড় পরিবর্তন এনেছেন, যা মধ্যবিত্তের জন্য উল্লেখযোগ্য স্বস্তির কারণ হতে পারে। নতুন কর কাঠামোর ফলে সাধারণ চাকরিজীবী ও ছোট ব্যবসায়ীরা বার্ষিক ₹৮০,০০০ থেকে ₹১.২০ লক্ষ পর্যন্ত কর সাশ্রয় করতে পারবেন।
০-৪ লাখ টাকা: শূন্য কর
৪-৮ লাখ টাকা: ৫% কর
৮-১২ লাখ টাকা: ১০% কর
১২-১৬ লাখ টাকা: ১৫% কর
১৬-২০ লাখ টাকা: ২০% কর
২০-২৪ লাখ টাকা: ২৫% কর
২৪ লাখ টাকার বেশি: ৩০% কর
এই সাশ্রয়ের কারণ পরিষ্কার। আগে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে কর শূন্য ছিল। ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করের জন্য ৫ শতাংশ কর দিতে হত। অর্থাৎ ২০ হাজার টাকা কর দিতে হত। ৭ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয়েরর জন্য করের হার ছিল ১০ শতাংশ। অর্থাৎ কারও আয় ১০ লক্ষ টাকা হলে কর দিতে হত ২০ হাজার + ৩০ হাজার টাকা অর্থাৎ ৫০ হাজার টাকা। ১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা আয়ের উপর করের হার ছিল ১৫ শতাংশ। অর্থাৎ যাঁদের আয় ১২ লক্ষ টাকা ছিল তাঁদের কর দিতে হত আগের ৫০ হাজার টাকা + ৩০ হাজার টাকা। অর্থাৎ ৮০ হাজার টাকা।
কিন্তু এবার বাজেটে যে নতুন কর কাঠামো প্রস্তাব করেছেন নির্মলা সীতারামন তাতে, ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোনও কর দিতে হবে না। ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কর দিতে হবে ৫ শতাংশ হারে। অর্থাৎ ২০ হাজার টাকা। তার পর ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কর দিতে হবে ১০ শতাংশ হারে। অর্থাৎ ৪০ হাজার টাকা। সুতরাং ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাঁদের আয়, নতুন কর কাঠামোয় তাঁদের করের বোঝা সরাসরি ২০ হাজার টাকা কমে গেল। বাকি ৬০ হাজার টাকা সরকার কর রিবেট দেবে (আয়কর ধারা ৮৭ এ অনুযায়ী)।
নতুন বাজেটে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত করা হয়েছে, যা আগের ৭ লাখ টাকার করমুক্ত সীমার তুলনায় অনেক বেশি। চাকরিজীবীদের জন্য ৭৫,০০০টাকা পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন থাকছে, ফলে তাঁদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা দাঁড়াচ্ছে ১২.৭৫ লাখ টাকা।
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন কর ছাড়ের ফলে সরকার ১ লক্ষ কোটি টাকার রাজস্ব ছাড় দিতে প্রস্তুত, যা ব্যক্তি করদাতাদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বাজেট ২০২৫-এর এই পরিবর্তন মধ্যবিত্তের জন্য অন্যতম বড় কর সংস্কার বলে মনে করা হচ্ছে।