শেষ আপডেট: 7th August 2024 22:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশের হিংসার শিকার হচ্ছেন বহু সংখ্যালঘুরা, এমন অভিযোগ আসছেই। এবার কার্যত তার প্রমাণ মিলল ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে। শয়ে শয়ে শরণার্থীরা কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে চাইছেন। তবে তাদের আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে বিএসএফ। যদিও এর জন্য নিরাপত্তাবাহিনীকে কোনও রকম কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়নি। গুলি চালানোরও কোনও দরকার পড়েনি।
প্রায় ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক যারা মূলত হিন্দু তারা এসে জমায়েত করেন জলপাইগুড়ি জেলার মানিকগঞ্জের সাতকুড়া সীমান্তে। প্রত্যেকের দাবি ছিল, বিএসএফ পারলে গুলি করে তাঁদের মেরে দিক, কিন্তু তাঁরা দেশে ফিরে যাবেন না। বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার শানসেরপাড়া, দামেরঘাট, লক্ষ্মীপাড়া, বনাগ্রাম, পানিদুবি, বনিয়াপাড়া সহ একাধিক গ্রাম থেকে শয়ে শয়ে হিন্দুরা সীমান্তে ভিড় করেন। এই সবকটি গ্রামই ভারত সীমান্ত থেকে ২-৩ কিলোমিটারের দূরত্বে রয়েছে।
এমন ঘটনা ঘটতে পারে তার আন্দাজ আগে থেকেই পেয়েছিল বিএসএফ। তাই সোমবারের পর থেকেই সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ায় তাঁরা। বুধবার কিছু মানুষ আসা পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিএসএফ সীমান্তেও বাহিনী সংখ্যা বাড়ায়। শরণার্থীদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন সকলে। যদিও তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে সীমান্তেই বেশ কয়েক ঘণ্টা বসেছিলেন।
এরপর ভারতের তরফে বাংলাদেশি সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। দীর্ঘক্ষণ তাঁদের বৈঠক চলে। শেষে বিজিবি বাহিনী ওপারের সীমান্তে এসে সকলকে বোঝায় এবং তাদের সঙ্গে গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। বিএসএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে, গোটা পরিস্থিতি ভালভাবেই সামলানো গেছে, কোনও উত্তেজক অবস্থা তৈরি হয়নি। তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবেই বিষয়টি সামলাতে পেরেছেন। তবে এই মুহূর্তে সীমান্তে নিরাপত্তা কিছু কমানো হচ্ছে না। কারণ এমন ঘটনা আবার ঘটার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বিএসএফ কোনও ভাবেই দেশে অনুপ্রবেশ হতে দেবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেবে বৃহস্পতিবার, রাত ৮টায়। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ডঃ মুহম্মদ ইউনুসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তিনি এই মুহূর্তে দেশে নেই, তিনিও ফিরবেন বৃহস্পতিবার, দুপুর ২টা ১০ মিনিটে। তিনি ইতিমধ্যেই দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। শান্তির বার্তা দিয়েছেন সদ্য জেল থেকে মুক্তি পাওয়া বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও।