ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 2 May 2025 19:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গিদের (Jammu Kashmir Pahalgam Attack) গুলিতে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এদের মদ্যে ২৫ জন ছিলেন পর্যটক এবং বাকি একজন স্থানীয় কাশ্মীরি। আদিল নামের সেই যুবক বাড়ির একমাত্র উপার্জনকারী ছিল। তাঁর মৃত্যুতে গোটা পরিবারের প্রায় রাস্তায় দাঁড়ানোর মতো অবস্থা হয়ে গেছিল। তবে তাঁদের সহায় হল ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board)। কারণ আদিলের ভাইকে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাঁদের তরফে।
জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারানো আদিল হুসেন শাহর ভাই সৈয়দকে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের ওয়াকফ বোর্ড। যদিও এখনও পর্যন্ত এটা পরিষ্কার নয় যে তাঁকে কীসের চাকরি দেওয়া হয়েছে। আদিলের পরিবার এই চাকরির প্রস্তাবে রাজি হয়েছে কিনা, সেটাও এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁদের এই মুহূর্তে যা অবস্থা তাতে এই চাকরির প্রস্তাব হয়তো তাঁরা মেনে নিতে পারেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হবে।
জঙ্গি হামলায় মৃতদের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদীরা বেছে বেছে হিন্দুদের মেরেছে। তাহলে আদিলকে কেন মারল তারা? আসলে, আদিল জঙ্গিদের বাধা দিয়েছিল। কেউ কেউ বলেছেন, যে জঙ্গিদের থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে। তাই 'কাফির' বলে তোপ দেগে তাঁকে খুন করে জঙ্গিরা। আদিলের বাবা ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে বলেছিলেন, 'ছেলের আত্মত্যাগে আমি গর্বিত। হয়তো এই দিনটার জন্য, এই গর্ব অনুভব করব বলেই বেঁচে রয়েছি। নয়তো লাশ দেখার পরই মরে যেতাম'। এখন তাঁদের পাশেই দাঁড়াল স্থানীয় ওয়াকফ বোর্ড।
এদিকে, এনআইএ সূত্র জানাচ্ছে, পহেলগাম কাণ্ডে জড়িত জঙ্গিরা এখনও কাশ্মীরেই ঘাপটি মেরে রয়েছে। এই জঙ্গিরা অত্যন্ত সুকৌশলী ও যে কোনও রকম আত্মরক্ষার মতো স্বনির্ভর বলে জানা গেছে। এনআইএ তদন্তে প্রকাশ তারা এখনও দক্ষিণ কাশ্মীরে লুকিয়ে রয়েছে এবং সক্রিয় রয়েছে। এই তদন্তের কাজে নিযুক্ত এক সূত্র জানাচ্ছে, তাদের সম্পর্কে বিশ্বাসযোগ্য বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে। তারা এখনও এই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে। জানা গিয়েছে, এই জঙ্গিরা পুরোপুরি আত্মনির্ভর। এদের কাছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার রয়েছে, এছাড়াও অত্যাবশ্যকীয় সরঞ্জামও এরা নিয়ে এসেছে।