Advertisement
ফাইল ছবি
Advertisement
শেষ আপডেট: 18 April 2025 20:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের শিরোনামে এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বিতর্কিত রায় এবং পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন এই আদালতের বিচারপতিরা। আবার কার্যত একই রকমের ঘটনা। এবার ধর্ষণের মামলায় এক অভিযুক্তকে জামিন দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার বিষয় নিয়ে মন্তব্য করলেন বিচারপতি। সম্পর্ক ভাঙার কারণই ফৌজদারি আইনের অপব্যবহার বাড়ছে বলে মত তাঁর।
২৫ বছরের এক তরুণী অভিযোগ করেছিলেন ৪২ বছরের ওই যুবক তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছেন। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের ভিডিও তুলে রেখে তার সাহায্যে ব্ল্যাকমেলও করতেন! নির্যাতিতার আরও দাবি, বিভিন্ন সময়ে বহু মহিলার সঙ্গে ওই যুবক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। একাধিকবার বিয়েও করেছেন। এক্ষেত্রেও তাঁকে ফাঁসিয়েছেন তিনি বলে অভিযোগ করেন তরুণী। কিন্তু এলাহাবাদ হাইকোর্ট শেষ পর্যন্ত তরুণীর যুক্তি মেনে নেয়নি।
অভিযুক্ত আইনজীবীর পাল্টা বক্তব্য ছিল, নির্যাতিতা তাঁর মক্কেল বিবাহিত জেনেও সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। আর তিনি যে একাধিকবার বিয়ে করেছেন এই দাবিও মিথ্যে। দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি কৃষান পাহালের পর্যবেক্ষণ, দিনে দিনে প্রেম ভাঙার ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ফলে আইনের অপব্যবহার বাড়ছে। এমন ধরনের সব ঘটনায় আইনি হস্তক্ষেপের দরকারও পড়ে না। কিন্তু শুধুমাত্র প্রতিশোধের তাড়নায় অভিযোগ আনা হচ্ছে।
এই মামলায় অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতির যুক্তি, অভিযোগকারিণী জেনেশুনেই বিবাহিতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তাঁদের সম্পর্ক কোন দিকে এগোতে পারে সে বিষয়টি নিয়েও ওয়াকিবহাল ছিলেন তিনি। তাই এমন অভিযোগের গুরুত্ব থাকে না।
সম্প্রতি অন্য এক ধর্ষণ মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, 'নির্যাতিতা নিজেই বিপদ ডেকে এনেছিলেন এবং অপরাধের জন্য তিনি দায়ী'! বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে খোদ সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতির এই মন্তব্যে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বি আর গাভাই। কেনই বা নির্যাতিতাকে নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করতে হল, সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন তিনি।
Advertisement
Advertisement