Date : 22nd May, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
৪০ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড দিল্লি-নয়ডা! বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে মৃত ১, একাংশে নেই বিদ্যুৎপ্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লি! দেরিতে ছাড়বে আটটি আন্তর্জাতিক বিমান, বাতিল ১ঝড়-বৃষ্টির জেরে শিয়ালদহ-লালগোলা ট্রেনে পড়ল গাছ, দাউ দাউ করে জ্বলল মহিলা কামরাবিশ্বের দরবারে সম্মানিত ভারত, নিউ ইয়র্কে ড. অচ্যুত সামন্তের নামে হল গবেষণা প্রতিষ্ঠানIndigo Flight: ইন্ডিগোর বিমানের নাক ভেঙে গেল, তীব্র ঝাঁকুনির পর তড়িঘড়ি নামল শ্রীনগরেচাপ নয়, জীবনের আসল খুশি লুকিয়ে রয়েছে এইসব পেশায়, বলছে গবেষণা! আপনিও কি তাঁদের মধ্যে একজন?'ওকে আমি ভালবাসি! ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যে', থানায় গিয়ে মায়ের কীর্তি ফাঁস করল মেয়েUber Rapido: উবারের পর এবার নজরে র‍্যাপিডো-ও, অ্যাডভান্স টিপ নিয়ে তদন্তে সরকার'বিয়ে করতে চাই...' পাক গোয়েন্দাকে বলেন জ্যোতি! হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্যপাকিস্তানের আরও এক কূটনীতিককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন দেশ ছাড়তে বলা হল? ইসলামাবাদ কী বলছে!
Brahma Chellaney on ceasefire

জয়ের মুখ থেকে হার ছিনিয়ে আনল ভারত, যুদ্ধবিরতি নিয়ে চাঁচাছোলা ব্রহ্ম চেল্লানি

প্রবীণ এই ভূ-কৌশলবিদের মতে, ভারতীয় সেনা এবার পাকিস্তানকে সামরিকভাবে কোণঠাসা করেছিল। পাকিস্তানের পাঠানো ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র খুব একটা কার্যকর হয়নি, অথচ ভারতের সীমিত আঘাতেই লক্ষ্যভেদ সম্ভব হয়েছে।

জয়ের মুখ থেকে হার ছিনিয়ে আনল ভারত, যুদ্ধবিরতি নিয়ে চাঁচাছোলা ব্রহ্ম চেল্লানি

নরেন্দ্র মোদী এবং ব্রহ্ম চেল্লানি

শেষ আপডেট: 11 May 2025 12:38

দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার যেভাবে রাতারাতি ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি ( India Pakistan Ceasefire) ঘোষণা করা হয়েছে তাতে অনেকেই হতাশ। একে তো পহেলগামে হত্যাকাণ্ড নিয়ে জনমানসে পাক বিরোধী তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। উপরি কিছু সংবাদমাধ্যম ও রাজনীতিক যেরকম হল্লা শুরু করেছিলেন, তাতে কারও কারও ধারণা হয়েছিল, ইসলামাবাদকে বুঝি চরম সবক শেখাবে নয়াদিল্লি। ঠিক এহেন পরিস্থিতিতেই ভারত-পাক যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন প্রবীণ ভূ-কৌশলবিদ ব্রহ্ম চেল্লানি (Brahma Chellaney) । তাঁর মতে, ভারত যখন কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল, তখন উল্টো পথে হাঁটল। যুদ্ধবিরতির পথে হেঁটে “জয়ের মুখ থেকে হার ছিনিয়ে আনল” ভারত।

কে এই ব্রহ্ম চেল্লানি?


এক সময়ে ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন চেল্লানি। ভারতের খসড়া পারমাণবিক নীতি তথা নিউক্লিয়ার ডকট্রিনও তাঁর লেখা। নয়াদিল্লির সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ-এ স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের অধ্যাপক; এবং কিংস কলেজ লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব র‍্যাডিকালাইজেশনের সঙ্গে যুক্ত। 

চেল্লানির কথায়, “এই সিদ্ধান্ত ভারতের পুরনো ভুলেরই পুনরাবৃত্তি”। নয়াদিল্লি যে বারবার কূটনৈতিক ও সামরিক সুবিধা খুইয়ে ফেলে তার উদাহরণ দিতে গিয়ে ব্রহ্ম চেল্লানি বলেন, “১৯৭২ সালে আমরা যুদ্ধজয়ের সুফল আলোচনার টেবিলে ফেলে দিয়েছিলাম, বিনিময়ে পাকিস্তানের কাছ থেকে কিছুই আদায় করতে পারিনি। ২০২১ সালে আমরা কৌশলগত কৈলাশ হাইটস খালি করে দিয়েছিলাম, যেটা ছিল আমাদের একমাত্র দর কষাকষির হাতিয়ার। এরপর আমরা লাদাখে চীনের তৈরি করা বাফার জোনেও সম্মতি দিয়েছি—আর এখন অপারেশন সিঁদুর”। চেল্লানি বলেন, “এবার 'অপারেশন সিঁদুর' এমনভাবে শেষ হল, যেখানে পাকিস্তান দিল্লির দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েও পার পেয়ে গেল।”

প্রবীণ এই ভূ-কৌশলবিদের মতে, ভারতীয় সেনা এবার পাকিস্তানকে সামরিকভাবে কোণঠাসা করেছিল। পাকিস্তানের পাঠানো ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র খুব একটা কার্যকর হয়নি, অথচ ভারতের সীমিত আঘাতেই লক্ষ্যভেদ সম্ভব হয়েছে। তা সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল, সেই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “এই সিদ্ধান্ত কেবল প্রতীকী নয়, কৌশলগতভাবেও ভুল। ইতিহাস এর মূল্যায়নে ভারতকে রেহাই করবে না।” 

শনিবার বিকেলে বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করেছিলেন। তাঁরও আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছিলেন, আমেরিকাই মধ্যস্ততা করে যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছে। 

সেই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা নিয়ে এখন কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। চেল্লানির কথা নিয়েও ঝড় উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন, মোদী ঠিক কাজই করেছেন। এটাই ভারতের সংযমী কূটনীতি। কিন্তু কারও কারও মতে, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে ভারতের কৌশলগত অবস্থানকে দুর্বল করে তুলতে পারে।


ভিডিও স্টোরি