ছবির বাঁদিকে এফ এন সুজা ও আকবর পদমসি (ডানদিকে)।
শেষ আপডেট: 25th October 2024 18:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অশ্লীলতার সংজ্ঞা নির্ধারণ করার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে কে দিয়েছে ? শুল্ক দফতরকে ঠিক এই ভাষাতেই ভর্ৎসনা করল বোম্বে হাইকোর্ট। ভারতের প্রখ্যাত দুই চিত্রশিল্পী ফ্রান্সিস নিউটন সুজা এবং আকবর পদমসি-র আঁকা সাতটি অমূল্য ‘নগ্ন’ ছবিকে নষ্ট না করে বাজেয়াপ্তমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার শুল্ক দফতরকে অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করে রাখা ছবিগুলি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। ছবিগুলিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মহেশ সোনাঙ্ক এবং জিতেন্দ্র এস জৈনকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ এর আগের শুনানিতে বলেছিল, সুজা এবং পদমসি দুজনেই পৃথিবী বিখ্যাত শিল্পী। শিল্পকর্ম সমাজের প্রতিচ্ছবি। তা কারও কাছে ভালো, কারও কাছে মন্দ, তো কারও কাছে বিশ্রীও হতে পারে। তাই বলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে আমরা প্রশংসা করি। এর উপরে আদালত এদিন আরও বলে, এই ছবিগুলি যে অশ্লীল তা শুল্ক বিভাগের অফিসাররা ঠিক করার কে? যে কারণে এগুলিকে আমদানি করার সময় বাজেয়াপ্ত করা হয়। শুল্ক অফিসাররা কি অশ্লীল চিত্রকর্ম নিয়ে মতামত দেওয়ার যোগ্য, প্রশ্ন তুলেছে বেঞ্চ। সেটাই যদি হয়, তাহলে খাজুরাহো মন্দির নিয়ে আপনাদের কী মত? জানতে চেয়েছে বেঞ্চ।
গত ১ জুলাই শুল্ক বিভাগের নির্দেশ খারিজ করে দেয় আদালত। যে নির্দেশে এই শিল্পকর্মগুলিকে অশ্লীল সামগ্রীর তকমা দিয়ে আমদানি বা দেশে ঢুকতে দেওয়া বন্ধ করে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ী তথা ছবি সংগ্রাহক আবেদন জানিয়েছিলেন হাইকোর্টে। অতীতে এই ছবিগুলি নষ্ট করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শুল্ক বিভাগ। তিনি তা থেকে বিভাগকে ঠেকানোর আর্জিও জানিয়েছিলেন আদালতে। এদিন আদালত জানিয়ে দেয়, ছবিগুলি যেন নষ্ট না করা হয়।
মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী মুস্তাফা করাচিওয়ালার বিকে পলিমেক্স ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এই আবেদনটি করে। শুল্ক বিভাগের সহকারী কমিশনার এই ছবিগুলি বাজেয়াপ্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছিলেন। এই ছবিগুলির মধ্যে সুজার চারটি এবং পদমসির তিনটি ছবি এবং দুটি ফটোগ্রাফ ছিল। ২০২২ সালে এই ছবিগুলি লন্ডন এবং স্কটল্যান্ডের দুটি নিলাম থেকে কিনেছিলেন এই ব্যবসায়ী।