অক্ষয় শিন্ডে ও বম্বে হাইকোর্ট
শেষ আপডেট: 25th September 2024 17:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বদলাপুরের যৌন হেনস্থায় মূল অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডেকে খুনের ঘটনায় এবার পাল্টা পুলিশকের ভূমিকাকেই ভর্ৎসনা করল বম্বে হাইকোর্ট। আদালত বুধবার পরিষ্কার জানিয়েছে, এটা কোনওমতেই এনকাউন্টারের ঘটনা হতে পারে না।
বুধবারই মৃত অক্ষয়ের বাবার দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টে। ভুয়ো এনকাউন্টারেই ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি বাবার। সিট গঠন করে ছেলের খুনের ঘটনার তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন।
এদিন বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি রেবতী মোহিতে দেরে এবং বিচারপতি পৃথ্বীরাজ চৌহানের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, ঘটনার একদিন আগেই পরিবারের লোকেদের সঙ্গে অক্ষয়ের দেখা হয়। ঠিক তার চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ছেলে এমন কাজ করতে পারে তা বিশ্বাসই করছেন না অক্ষয়ের বাবা-মা।
অক্ষয়ের মানসিক কোনও অসুস্থতাও ছিল না বলেই দাবি পরিবারের। এরপরই হাইকোর্টের নজরদারিতে সিট গঠন করে তদন্ত চেয়ে আইনজীবীর দাবি, ঘটনায় পুলিশই ঠিক করে দিচ্ছে দোষী কে। পুলিশের এমন পদক্ষেপে সমাজে ভুল বার্তা ছড়াচ্ছে।
সরকারি আইনজীবীর পাল্টা দাবি, পুলিশের হাত থেকে বন্দুক ছিনিয়ে অক্ষয় স্লাইড টানতেই গুলি চলে। এরপরই পুলিশ তার বাম থাই লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এমন কথা শুনতেই আইনজীবীকে পাল্টা প্রশ্ন করতে শুরু করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কীভাবে স্লাইডার টানতেই গুলি চলল? বন্দুক চালাতে না শিখেও কীভাবে এত সহজে গুলি চালাল অক্ষয়? উঠে আসে একাধিক প্রশ্ন।
এখানেই শেষ নয়, এদিন বম্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরকারী আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, আপনারা মোট ৩টি গুলি চালানোর কথা বলছেন। তিনটির মধ্যে একটি গুলিতে পুলিশ কর্মী আহত হলে বাকি দুটো গেল কোথায়? পাশাপাশি মাথার বদলে কেন অভিযুক্তর হাঁটুর নীচে গুলি করা হল না, গুলি ছোড়ার আগে অবধি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করে কী করছিল পুলিশ একাধিক প্রশ্ন এদিন উঠে আসে।
বদলাপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে সাফাইকর্মী ছিল অক্ষয় শিন্ডে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্কুলের চার বছরের যে দুই ছাত্রীর উপর লাগাতার যৌন নির্যাতন চালিয়েছিল সে। তদন্তে উঠে আসে, কমপক্ষে ১০-১২ দিন ধরে ওই দুই শিশুর উপরে যৌন নিগ্রহ চালিয়েছিল অক্ষয়। গত সোমবারই অক্ষয় শিন্ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঠাণে নিয়ে যাচ্ছিল ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুম্বরা বাইপাসের কাছে পৌঁছতেই শিণ্ডে এক অফিসারের রিভলভার ছিনিয়ে নিয়ে দু-তিন রাউন্ড গুলি করে। তাতে এক পুলিশ অফিসার আহত হয়। এরপরই অন্য এক পুলিশ অফিসারের গুলিতে গুরুতর আহত হয় শিন্ডে। কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়।