শেষ আপডেট: 8th January 2025 11:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জল ঢুকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। সে কারণে উদ্ধারের লাগাতার চেষ্টা চালালেও লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। বুধবার সকালে অসমের ডিমা হাসাওয়ের কয়লা খনি থেকে উদ্ধার হল আরেক শ্রমিকের মৃতদেহ।
জানা গেছে, খনির ভিতরে জলস্তর বর্তমানে ১০০ ফুটের উপরে। ধীরে ধীরে সেই পরিমাণ আরও মাত্রা ছাড়াচ্ছে। সে কারণেই আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে হিমশিম খাওয়ার অবস্থা উদ্ধারকারীদের। এখনও সেখানে আট জন আটকে আছেন বলে খবর। যদিও মঙ্গলবারই তিন শ্রমিকের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করলেও তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আটক ৯ শ্রমিকের মধ্যে বাংলার জলপাইগুড়ির বাসিন্দা এক শ্রমিক রয়েছেন। এখনও তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করে নৌ বাহিনী, সেনা বাহিনী, এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ কর্মীরা। গতকাল দুপুরেই জানা গেছিল, মৃত্যু হয়েছে ৩ শ্রমিকের। তাঁদের দেহ ভেসে থাকতেও দেখেছিলেন উদ্ধারকারীরা। ৯ জন শ্রমিকের মধ্যে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও ৬ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বুধবার ডুবুরি দল খনিতে ভেসে থাকা এক শ্রমিকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সেখানে আরও আটজন এখনও আটকে রয়েছেন বলে খবর।
তবে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ কিছু বুঝে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। অনুমান করে এগোলেও তাঁদের কোনও নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার দুপুরের পর থেকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করে পুলিশ, দমকল, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। শ্রমিকদের উদ্ধারের পর দ্রুত তাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে খনির বাইরেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেনার হেলিকপ্টার।
শেষ পাওয়া খবর, ক্রেন ও দড়ি ব্যবহার করে খনিতে নেমে শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি ভিতরে অতিরিক্ত জল থাকার কারণে বিশাখাপত্তনম থেকে ডুবুরি নামিয়েও জোর কদমে তল্লাশি চলছে। এছাড়া হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আকাশ চক্কর কাটতে দেখা যাচ্ছে সেনাবাহিনীকে। উদ্ধারকাজে ভারতীয় নৌবাহিনীকেও মোতায়েন করা হয়েছে।