শেষ আপডেট: 1st October 2024 18:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৫৬ বছর পর সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় 'ফিরে এলেন' তাঁরা। পরিবারের সদস্যরা একদিকে যেমন খুশি, অন্যদিকে আবেগপ্রবণও বটে। জলজ্যান্ত মানুষটাকে আর পাওয়া যাবে না, তবে এত বছর পর চোখের সামনে তাঁদের নিথর দেহ দেখে একটু মানসিক শান্তি পাচ্ছেন তাঁরা। শেষ দেখাটাতো হল।
১৯৬৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। হিমাচল প্রদেশের রোটাং পাসের কাছে ভেঙে পড়েছিল বায়ুসেনার একটি বিমান। তাতে ছিলেন ১০২ জন যাত্রী। অধিকাংশ যাত্রীদেরই পরবর্তী সময়ে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৫৬ বছর আগের সেই ঘটনায় চারজনের দেহ উদ্ধার করা গেছে। ভারতীয় সেনার তরফে বিগত কয়েকদিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। তাতেই উদ্ধার করা গেছে এই চারজনের দেহ।
চণ্ডীগড় থেকে বায়ুসেনার সেই এএন-১২ বিমান উড়েছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিভ্রাট ঘটে বিমানে। পরে তা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোটাং পাসের কাছেই ভেঙে পড়ে। ২০০৩ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী শৈলারোহণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা প্রথমবার ওই বিমানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পেয়েছিল।
সেই সময়ে টানা অভিযান চালিয়ে ভারতীয় সেনার ডোগরা স্কাউট দল ৫ জনের দেহ উদ্ধার করেছিল। সুতরাং এই ৪ জন নিয়ে মোট ৯ জনের দেহ উদ্ধার হল এই ঘটনায়। এবার এই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ডোগরা স্কাউট এবং তিরঙ্গা মাউন্টেন রেস্কিউ দলের সদস্যরা।
এর আগে ২০০৫, ২০০৬, ২০১৩ এবং ২০১৯ সালে তল্লাশি অভিযান হয়েছে। চারটি অভিযানের মধ্যে ৫টি দেহই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। ২০২৪-এর অভিযানে ফের ৪টি দেহ উদ্ধার হল। এঁদের মধ্যে তিনজনকে শনাক্ত করা গেছে তাঁরা হলেন মালখান সিংহ, সিপাহী নারায়ণ সিংহ এবং টমাস চরণ।