শেষ আপডেট: 28th February 2024 10:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হিমাচল প্রদেশে সরকার গড়তে মরিয়া বিজেপি। লোকসভার ভোট ঘোষণার আগেই সেখানে সরকার গড়তে চাইছে পদ্ম শিবির। সেই মতো ঘুঁটি সাজিয়েছে তারা। মঙ্গলবার রাজ্যসভার ভোটে নয় কংগ্রেস বিধায়ককে ভাঙিয়ে দলীয় প্রার্থীকে জিতিয়ে নিয়ে গেরুয়া শিবির এখন চাঙা।
বুধবার সকালেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুর রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন। মঙ্গলবার রাতে তিনি কথা বলেন বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে। বুধবার রাজভবনে গিয়ে তিনি দাবি করেন, পুরো বাজেট ভোটাভুটির মাধ্যমে পাশ করাতে হবে। বুধবারই বাজেট পেশ হওয়ার কথা।
সাধারণত বাজেটের কোনও অংশ নিয়ে বিরোধীদের আপত্তির সঙ্গে সরকার পক্ষ সহমত না হলে সেই অংশের উপর ভোটাভুটি হয়ে থাকে। কংগ্রেস সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির উদ্দেশে বিজেপি গোটা বাজেট নিয়েই ভোটাভুটি চায়। তারা মনে করছে ভোটাভুটিতে হেরে যাবে সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকার।
বিজেপির দ্বিতীয় কৌশল বাজেট অধিবেশনেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা। বাজেট ভোটাভুটিতে সরকারের পতন না হলে তারা দ্বিতীয় বিকল্প হিসাবে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করতে চায়। উদ্দেশ্য সরকার নিয়ে লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার আগেই হেস্তনেস্ত করে নেওয়া। কারণ, একবার অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার পর ছয়মাস অপেক্ষা করতে হয় দ্বিতীয়টির জন্য। পদ্ম শিবির মনে করছে, এখনও পাহাড়ি রাজ্যটিকে ক্ষমতা দখল করতে পারলে তার প্রভাব গোটা উত্তর ভারতে পড়বে। হিমাচল আবার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার রাজ্য। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে তিনিই দলকে সেখানে নেতৃত্ব দিয়ে ব্যর্থ হন। ফলে হিমাচলে সরকার দখল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের অন্যতম এজেন্ডা।
বুধবার সকালে রাজ্যপালের কাছে বিজেপির বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুর
সরকার টিকিয়ে রাখা যে কঠিন, তেমন আশঙ্কা ফুঁটে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী সুখুর কথাতেও। তিনি খানিক বিলাপের সুরে মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, মণিপুর, গোয়া মহারাষ্ট্রে বিজেপির ব্যাকডোর দিয়ে ক্ষমতা দখলের কথা শুনিয়ে চলেছেন। রাজ্যসভার ফলের পর মুখ্যমন্ত্রী দৃশ্যতই হতাশ। দলের হেভিওয়েট প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে জেতাতে না পারাটা মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রতিভা সিংহের বড় ব্যর্থতা। তিনদিন আগে বিধায়কদের হোটেল বন্দি করেও ঘর রক্ষা করতে ব্যর্থ কংগ্রেস।
দলে ইতিমধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে, বিজেপি প্রার্থীকে খাটো করে দেখা নিয়ে। বিজেপির রাজ্যসভার প্রার্থী হর্ষ মহাজন প্রাক্তন কংগ্রেসি। দলের চারবারের বিধায়ক এবং একবারের মন্ত্রী। দু’ বছর আগে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই বিজেপি তাঁকে গুরুত্ব দিচ্ছিল। এখন জানা যাচ্ছে গত এক বছর ধরে তিনি কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন যা টের পাননি সুখু, প্রতিভারা। অন্যদিকে, আত্মবিশ্বাসী মহাজন গত রবিবার ঘোষণা করে দেন কংগ্রেসের থেকে ১৭টি ভোট কম থাকলেও তিনিই জিতবেন। ফল ঠিক তাই-ই হয়েছে।