শেষ আপডেট: 10th December 2024 19:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিনি আর পদে নেই। তবে বিজেপির নিশানা থেকে কিছুতেই বাঁচতে পারছেন না দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বছর ঘুরতেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নতুন করে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এবার দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের ভিডিও দেখিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করল তাঁরা।
মোটা টাকা নয়ছয় করে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের ভোলবদল করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারি বাসভবনের একটি ভিডিও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে বিজেপি। দাবি, এই বাসভবনের বিলাসবহুল আসবাবপত্র কেনা, ভবন সংস্কারের আড়ালে কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। বিজেপি নেতা বীরেন্দ্র সচদেভা ওই বাংলোর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই অভিযোগই তুলেছেন।
নয়াদিল্লি ৬ নম্বর ফ্ল্যাগ স্টাফ রোডে এই সরকারি বাসভবন রয়েছে। বিজেপির দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরও এই বাংলো ছাড়েননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যে ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে তাতে দেখানো হয়েছে এই বাংলোর মধ্যে কী কী জিনিস রয়েছে। বিজেপি বলছে, এটি কোনও বিলাসবহুল ৭ তারা রিসোর্টের থেকে কম নয়। অভিযোগ, সাধারণ মানুষের টাকা লুট করে, দুর্নীতি করে এই বাংলোর কাজে লাগানো হয়েছে।
ভিডিও পোস্ট করে বিজেপি নেতা বলেছেন, ''যে নিজেকে সাধারণ মানুষ বলে দাবি করে এসেছে সে নিজে শিসমহলে থাকে। আমজনতার টাকা চুরি করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজের জন্য রিসোর্টের মতো বাংলো তৈরি করেছেন।'' বিজেপি যে তথ্য দিয়েছে সেই অনুযায়ী, এই বাংলোর কাজে কম করে ৩.৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখানো মার্বেলের মেঝের দাম ১.৯ কোটি, ইনস্টলেশন এবং মিস্ত্রিদের খরচ বাবদ ১.৫ কোটি, জিম-স্পা এবং বাথরুমের সরঞ্জামের মিলিত দাম ৩৫ লক্ষ, এমনই দাবি বিজেপির।
खुद को आम आदमी कहने वाले @ArvindKejriwal की अय्याशी के शीशमहल की सच्चाई हम बताते आए हैं , आज आपको दिखायेंगे भी!
— Virendraa Sachdeva (@Virend_Sachdeva) December 10, 2024
जनता के पैसे खाकर अपने लिए 7-Star Resort का निर्माण करवाया है!
शानदार Gym-Sauna Room-Jacuzzi की कीमत!
• Marble Granite Lighting→ ₹ 1.9 Cr.
•Installation-Civil… pic.twitter.com/QReaeNMRQ8
এই প্রথমবার নয়। এর আগে কোভিডের সময়ে জনগণের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতার সচদেবার কথায়, একসময় কেজরিওয়াল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সরকারি গাড়ি বা বাসভবন ব্যবহার করবেন না। এখন তিনিই দিল্লির করদাতাদের টাকা চুরি করে বাংলো তৈরি করেছেন। তাঁর দাবি, বাংলোর পিছনে যা খরচ হয়েছে সেই টাকায় ৩৪টি ডিডিএ ফ্ল্যাট, ১৫টি এলআইজি ফ্ল্যাট এবং ৩২৬টি ই-রিক্সা কেনা যেত।