শেষ আপডেট: 11th March 2025 08:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সম্ভলে (Sambhal) এক বিজেপি নেতাকে (BJP leader) তাঁর খামার বাড়িতে ঢুকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। নিহত নেতার নাম গুলফাম সিং যাদব (Gulfam Sinh Yadav) । তিনি সম্ভল বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ মুখ। ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে তিনি সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi party) তৎকালীন সুপ্রিমো অধূনা প্রয়াত মুলায়ম সিং যাদবের (Late Mulayam Sing Yadav) বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভলের দাফতারা গ্রামে বিজেপির নেতার খামার বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। গুলফাম সিং যাদব খামার বাড়ির একপ্রান্তে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তখন মোটর সাইকেলে চেপে তিন যুবক তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসে। তারা কিছুক্ষণ পর বিজেপি নেতার শরীরে পর পর তিনটি ইঞ্জেকশন (injection) দেন বলে পুলিশ জানায়। কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার আগে তিন যুবক চম্পট দেয়। ময়না তদন্তে খুনের উপায় ধরা পড়ে।
কেন খুন করা হল বিজেপি নেতাকে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সম্ভ্লের পরিস্থিতির কারণে বিজেপি নেতার হত্যাকাণ্ড চিন্তার কারণ হয়েছে শহরবাসীর এবং পুলিশ-প্রশাসনের। শহরের জামা মসজিদটি (Jama Masjid) নিয়ে বছর খানেক হল গোলমাল চলছে। হিন্দুপক্ষের দাবি সেটি আসলে হরিশঙ্কর মন্দির। সেটি ভেঙে তৈরি হয় মসজিদ।
সেই বিবাদের নিষ্পত্তি করতে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার জরিপ চলছে মসজিদে। এরই মধ্যে আগামী শুক্রবারের হোলি নিয়ে প্রশাসনের বক্তব্য নিয়ে মুসলিম সমাজে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসন সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠকে মুসলিমদের পরামশ দিয়েছে ওই দিন দুপুরের জুম্মার নমাজের সময় বাড়িতে থাকতে। প্রশাসনের বক্তব্য, দুই সম্প্রদায়ের মানুষ একই সঙ্গে রাস্তায় থাকলে সমস্যা হতে পারে।
পুলিশ-প্রশাসনের এই বক্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) । তিনি বলেন, নমাজ পাঠের জন্য মসজিদে সমাগম ইসলামে বাধ্যতামূলক করা হয়নি। তাছাড়া মুসলিমরা (Muslim grpup) সারা বছর জুম্মার নমাজ পাঠের সুযোগ পান। সেখানে হিন্দুদের হোলি মাত্র একদিন।
জুম্মার নমাজের দিনে হোলি ঘিরে সম্ভালের পরিস্থিতি ভাল নয়। তার উপর বিজেপি নেতার হত্যাকাণ্ড পরিস্থিতিতে আরও উত্তপ্ত করল বলে মনে করছে এলাকাবাসী এবং প্রশাসন। বিজেপি নেতাকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়তে দলে দলে দলীয় ও আরএসএস সতীর্থরা হাসপাতালে জড়ো হন। তারা খুনিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। পুলিশ দুষ্কৃতীদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি।