বিয়ের পরও আইনজীবীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মহিলার। অভিযোগকারী চিকিৎসকই পুলিশে জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী গোপনে সঞ্জীব কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। এমনকি লুকিয়ে দুজনে দেখাও করতেন।
প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 17 May 2025 20:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ছোটবেলার প্রেম ভুলতে পারেননি। বিয়ের পরও যোগাযোগ রেখেছিলেন প্রেমিকা। প্রেমের টানেই পঞ্চাশ বছরের বিবাহিতা প্রেমিকাকে নিয়ে পালালেন ষাটের আইনজীবী (Man Eloped with Married Woman)। স্ত্রীকে ফিরে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হন স্বামী। বিহারের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার চিকিৎসক স্বামী জানান, গত ১১ মে তাঁর স্ত্রী দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাত বাড়লেও স্ত্রী বাড়ি ফিরছেন না দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। শেষে তাঁকে না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্তে নেমে আইনজীবী সঞ্জীব কুমার ও চিকিৎসকের স্ত্রীকে আটক করেন। অভিযুক্ত আইনজীবী জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাঁদের দীর্ঘদিনের পরিচয়। ছোটবেলায় সহপাঠী ছিলেন তাঁরা। বেশ কিছুদিনের প্রেমের সম্পর্কও ছিল দুজনের। কিন্তু ওই মহিলার পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তাঁর অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়।
বিয়ের পরও আইনজীবীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মহিলার। অভিযোগকারী চিকিৎসকই পুলিশে জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী গোপনে সঞ্জীব কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। এমনকি লুকিয়ে দুজনে দেখাও করতেন। স্ত্রীকে অনেকবার আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসক। তবে তাতে লাভ হয়নি।
পুলিশ পলাতক যুগলদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও জানতে পারে, অনেকদিন ধরেই দুজনে একসঙ্গে থাকার পরিকল্পনা করছিলেন। শেষপর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেন। সেইমতোই ১১ তারিখ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই মহিলা।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) একটি ঘটনা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। আলিগড়ে মেয়ের বিয়ের দশদিন আগেই হবু জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে যান হবু শাশুড়ি। মহিলার পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই লুকিয়ে কথা চলত জামাই-শাশুড়ির। পুলিশ যুগলের খোঁজ শুরু করলে কিছু সময়ের মধ্যেই তাঁরা আত্মসমর্পণ করেন। পালানোর সময় মেয়ের বিয়ের গয়না ও নগদ টাকাও নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছিলেন মহিলার স্বামী।
কয়েকদিন পরই গোণ্ডায় একই ঘটনা দেখা যায়। হবু জামাইকে নিয়ে স্বামীর ঘর ছাড়েন গৃহবধূ। পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। এই ঘটনার পর মেয়ের বিয়ে অন্যত্র ঠিক করা হয়। অন্যদিকে, পুলিশ পলাতকদের খোঁজ শুরু করেছিল বলেও খবর। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ে ঠিক হওয়ার পর যুবক শ্বশুরবাড়ির সকলের সঙ্গেই কথা বলতেন। কিন্তু দিন যত এগোতে থাকে শাশুড়ি-জামাইয়ের কথাবার্তা বাড়তে থাকে। তবে তাঁরা যে এমন পদক্ষেপ করবেন তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি।