শেষ আপডেট: 2nd January 2025 17:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বারবার 'ভোলবদলু' নীতীশ কুমারকে নিয়ে বিহারের রাজনীতিতে কানাঘুষো শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০২৫ সালের শেষাশেষি বিধানসভা নির্বাচন আছে বিহারে। তার আগে পাটলিপুত্রের রাজনীতিতে সমীকরণের অঙ্ক কষার মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের মুখোমুখি দেখা হল। শুধু তাই নয়, সৌজন্য বিনিময় করতে একে অপরের হাত ধরে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেন। আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী তথা রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর কাঁধে হাত দিয়ে নতুন বছরের অভিনন্দন ও শুভকামনা জানালেন জেডিইউ নেতা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা লালুপ্রসাদ বুধবারই নীতীশ কুমারের জন্য ইন্ডিয়া জোটের দরজা খুলে দিয়েছেন। তারপর এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনও সাফসুতরো জবাব না দিয়ে নীতীশ হাতজোড় করে বলেন, ক্যায়া বোল রহে হ্যায়? এরপরেই রাজভবনে বর্তমানে দুই মেরুর, একদা শরিক দলনেতার সাক্ষাৎকে ঘিরে ভোটের বছরে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষত, কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার মূলত টিকে আছে যে দুই বড় দলের উপর নির্ভর করে, তার মধ্যে জেডিইউ অন্যতম।
ভোটের বছরেই বিহারের রাজ্যপাল বদল করেছে কেন্দ্র। ইংরেজি নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনেই আরিফ মহম্মদ খানকে বিহারের নতুন রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন তিনি। সেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেই দেখা হয় নীতীশ-তেজস্বীর। বিহারের রাজনীতিতে নীতীশ-লালুকে বড়া ভাই, ছোটে ভাই বলে সকলে চেনে। ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা থেকে এই দুই নেতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অবিভক্ত জনতা দলের হয়ে লড়াই করেছেন। সেই নীতীশ কুমার লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের প্রথম রূপকার ছিলেন। তাই তাঁকে ফের ইন্ডিয়া জোটের জন্য দরজা খোলা আছে বলে আহ্বান জানান লালু।
ভোটের আগে পর্যন্ত রাজ্য সরকার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে? নির্দিষ্ট এক প্রশ্নের জবাবে খান বলেন, এ ধরনের প্রশ্ন করার অনুষ্ঠান এটা নয়। আজ একটা খুশির দিন। ভালো কিছুর জন্য ভাবুন। বুধবার লালু প্রাক্তন জোট শরিক নেতা নীতীশ কুমারের উদ্দেশে বলেছিলেন, আমাদের দরজা খোলা। উনি নিজের দরজার খিড়কি খুললেই হবে। তার পরদিনই লালুপুত্রকে দেখে বিহার নির্বাচনে অমিত শাহের যুদ্ধের ঘোড়া নীতীশ কুমার আচমকা সৌজন্য বিনিময় করায় নানান প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়েছে।
নীতীশ কুমার একবার বিজেপি, একবার মোদী বিরোধী জোটে ভিড়ে দলবদলের রাজনীতিকে প্রায় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিলেন। শেষবার বিজেপির সঙ্গে এনডিএ জোটে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কথা দিয়েছিলেন, এরপর আর দলবদল করবেন না।