ভগবন্ত মান
শেষ আপডেট: 15 February 2025 07:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীদের দেশে ফেরাচ্ছে আমেরিকা। ইতিমধ্যে ১০৪ জন ফিরেছে। শনিবার এবং রবিবার আরও দুটি বিমান আসার কথা। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, এই বিমানগুলি দিল্লিতে নয়, নামছে অমৃতসরে। আর এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। কেন বিমানগুলিকে বেছে বেছে অমৃতসরেই নামানো হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
শনিবার একটি মার্কিন বিমান অবতরণ করবে অমৃতসরে। ১১৯ জন ভারতীয় নাগরিক ফিরবেন দেশে। রবিবার কতজন আসবেন তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে অমৃতসরে বিমান অবতরণের বিষয় নিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্র ইচ্ছে করে বিমানগুলিকে নয়াদিল্লিতে অবতরণ না করিয়ে অমৃতসরে করাচ্ছে। যাতে পাঞ্জাবের নাম খারাপ হয়। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। পাঞ্জাব এবং পাঞ্জাবীদের নাম খারাপ করাই উদ্দেশ্য কেন্দ্রের।
এই মুহূর্তে আমেরিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবারই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তাঁর। আর এরই মধ্যে জানা গেছে শনিবার-রবিবার আরও দুটি প্লেন ভারতীয়দের নিয়ে ফিরছে ভারতে। এই প্রসঙ্গে ভগবন্ত মানের খোঁচা, ''মোদী যখন হাসিমুখে ট্রাম্পের সঙ্গে গল্প করছিলেন তখনই আমেরিকা প্রশাসন ভারতীয়দের পায়ে শেকল বাঁধছিল। এটাই কি মোদীকে উপহার দিয়েছেন ট্রাম্প?''
বিজেপি অবশ্য পাঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রীর সব অভিযোগ নস্যাৎ করেছে। দলের মুখপাত্র আরপি সিং বলেন, ''আমেরিকা থেকে ভারতে ঢোকার জন্য অমৃতসরই সবথেকে কাছের বিমানবন্দর। তাই সেখানেই অবতরণ করানো হচ্ছে বিমানগুলিকে। আপ নেতারা দেশবাসীর সুরক্ষার কথা চিন্তা না করে সবসময়ে নিজেদের রাজনীতির কথা ভাবে। তাই এমন অভিযোগ করছে তাঁরা।''
अमेरिका से भारत में प्रवेश करने वाली उड़ानों के लिए अमृतसर निकटतम अंतरराष्ट्रीय हवाई अड्डा है। इसीलिए अवैध अप्रवासियों को ले जा रहा अमेरिकी विमान वहां उतर रहा है। @BhagwantMann जी, अपने ज्ञान की कमी के कारण मुद्दे का राजनीतिकरण करना और षड्यंत्र की थ्योरी को बढ़ावा देना बंद करें।
— RP Singh National Spokesperson BJP (@rpsinghkhalsa) February 15, 2025
গত সপ্তাহে ১০৪ জন ভারতীয়কে নিয়ে আমেরিকার একটি সামরিক বিমান অমৃতসরে নেমেছিল। দাবি করা হয়েছিল, তাঁদের পায়ে-কোমরে চেন বেঁধে তোলা হয়েছিল বিমানে। আমেরিকার তরফে দেওয়া একটি ভিডিওতেও একই ছবি ধরা পড়ে। তাতেই তৈরি হয় বিতর্ক। কড়া প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছিল ভারত। অনেক আমেরিকা-ফেরত ভারতীয়রা বলেছেন তাঁদের বাক্সের মতো বিমানে ধাক্কা মেরে ঢোকানো হয়েছে। এইসব নিয়ে নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়া, মার্কিন প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, এমন অভিযোগ এলে তাঁরা উচ্চ পর্যায়ে অভিযোগ জানাবেন।
সম্প্রতি সংসদে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অবশ্য জানিয়েছিলেন, আমেরিকার এই বহিষ্কারের প্রক্রিয়া নতুন কিছু নয়, এটি বহু বছর ধরেই চলে আসছে। তাঁর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সর্বাধিক ভারতীয়কে আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করা হয়, সংখ্যাটা ২ হাজার ৪২। ২০২০ সালে ফেরত পাঠানো হয় ১ হাজার ৮৮৯ জন ভারতীয়কে। ২০২৪ সালে সেই সংখ্যাটা ছিল ১ হাজার ৩৬৮।