শেষ আপডেট: 12th December 2024 11:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের আদালতে অতুল সুভাষ এবং তাঁর স্ত্রী নিকিতার ডিভোর্স মামলা চলছিল। নিকিতা খুন সহ একাধিক ভুয়ো মামলা দায়ের করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে এমনই দাবি করে গেছেন অতুল। তার জন্য তাঁকে কয়েক মাসে অন্তত ৪০ বার বেঙ্গালুরু থেকে জৌনপুর যাতায়াত করতে হয়েছে বলেও জানিয়েছেন। সেই ডিভোর্স মামলা নিয়ে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য এবার সামনে এসেছে।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে জৌনপুর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অতুলের স্ত্রী নিকিতা। তাঁর অভিযোগ ছিল, অতুল নাকি তাঁকে পণ চেয়ে চাপ দিত। শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করত। এই কারণেই আরও তিনি ডিভোর্স চেয়েছিলেন। নিকিতার দাবি ছিল, মদ খেয়ে তাঁর সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করতেন অতুল! ১০ লক্ষ টাকার দাবি করেছিলেন তিনি। এমনকী তাঁর অ্যাকাউন্টে থেকে বেতনের পুরো টাকা নাকি অতুল নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়ে নিতেন।
নিকিতা যে সমস্ত অভিযোগ করেছেন তার জবাব নিজের ২৪ পাতার চিঠিতে উল্লেখ করে গেছেন অতুল। সেখানেই তিনি বলেছেন, ''আমি বছরে ৪০ লক্ষ টাকা উপার্জন করতাম বলে স্ত্রী নিজেই জানিয়েছিল। পরে আমার উপার্জন বছর ৮০ লক্ষ টাকা হয়েছিল। তার আগেই নিকিতা ছেড়ে চলে যায়। তাই আমি ১০ লাখ টাকা পণ চাইছিলাম, এই দাবি হাস্যকর।'' নিকিতার তাঁর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও এনেছিলেন। সেই দাবির পাল্টা অতুল বলেন, তাঁর মতো স্বাস্থ্যবান কেউ নিকিতাকে মারলে হয় হাড় ভাঙত নাহলে কোনও না কোনও বড় আঘাতের চিহ্ন থাকত শরীরে। সেসব কিছুই দেখাতে পারেননি নিকিতা।
অতুলের সুইসাইড নোট থেকে এও তথ্য মিলেছে যে, আদালতে মামলা চলাকালীন নিকিতা নাকি তাঁকে আত্মহত্যা করার 'পরামর্শ' দিয়েছিলেন। ভরা আদালতের বিচারকের সামনেই নাকি নিকিতা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, 'তুমিও সুইসাইড করছো না কেন?' কেন আচমকা এই কথা বলেছিলেন নিকিতা, সেই কথাও নিজের সুইসাইড নোটে লিখে রেখে গেছেন অতুল। জানিয়েছিলেন, আদালতে মামলা চলাকালীন তিনি বিচারককে বলেছিলেন, ''এই ধরনের ভুয়ো মামলার জন্য দেশে অনেক ছেলেরা আত্মহত্যা করছে।' এই কথা শুনেই নাকি তাঁর স্ত্রী ওই প্রশ্ন করে তাঁকে খোঁচা দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, নিকিতার কথা শুনে বিচারক নাকি হেসেছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে তাঁর যে মানসিক অত্যাচার হয়েছে তার জন্য দেশের বিচারব্যবস্থাকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। অতুল একটি ভিডিও রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছিলেন। যেখানে তিনি ন্যায়বিচার নিয়ে প্রশ্নও তোলেন। বলেছিলেন, তিনি বিশ্বাস হারাচ্ছেন বিচারব্যবস্থার প্রতি।