শেষ আপডেট: 12th December 2024 08:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কতটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলে নিজের ছেলেকে জন্ম দেওয়া 'ভুল' মনে হতে পারে? বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষ একটি উদাহরণ হিসেবে থেকে যাবেন। আত্মহত্যার আগে স্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ২৪ পাতার চিঠি লিখে গেছেন তিনি। সঙ্গে করে গেছেন ৮১ মিনিটের ভিডিও। তবে এতকিছুর মধ্যেও নিজের ৪ বছরের ছেলেকে ভোলেননি অতুল।
২৪ পাতার চিঠিতে নিজের ছেলের জন্যও কিছু কথা বলে গেছেন অতুল সুভাষ। যদিও তিনি মনে করেন, তাঁর ছেলে এখন না বুঝলেও, একদিন ঠিকই বুঝবে তাঁর বাবা কেন এমন কথা বলে গেছিল। অতুলের শেষ আশা ছিল, তাঁর ছেলের যেন এমন পরিণতি না হয়। সেই কারণে চিঠিতে নিজের ছেলেকে 'কঠিন বাস্তব' বলে গেছেন তিনি।
অতুল চিঠিতে লিখেছেন, ''তোমায় যখন প্রথম দেখেছিলাম মনে হয়েছিল তোমার জন্য প্রাণ দিতে পারি। তবে এখন তোমার কারণেই প্রাণ দিচ্ছি। তোমার মুখটাও আমি মনে করতে পারি না। শেষবার যখন দেখেছিলাম তখন তোমার ১ বছর বয়স। গত ৩ বছরে তোমার কোনও ছবিও দেখতে পাইনি। তুমি আমার কাছে ব্যথা ছাড়া আর কিছু নও। কারণ এখন আমার খালি মনে হয় আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা ব্ল্যাকমেলের অস্ত্র তুমি। এই কথা শুনলে তোমার খারাপ লাগবে আমি জানি। তাও বলব, এখন মনে হয় তোমায় জন্ম দিয়ে আমি ভুল করেছি...''
নিজের ২৪ পাতার সুইসাইড নোটে অতুল জানিয়েছেন কীভাবে তাঁর স্ত্রী নিকিতা তাঁদের ছেলেকে 'ব্যবহার' করে তাঁর থেকে মাসের পর মাস টাকা চেয়ে গেছেন। উত্তরপ্রদেশ আদালতে চলা মামলায় অতুলকে ৮০,০০০ টাকা দিতে বলা হয়েছিল। তবে নিকিতা ২ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। শুধু তাই নয়, বারবার সেই অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর দাবিও ছিল তাঁর।
অতুল এও অভিযোগ করেছেন, প্রথমে মাসিক ১ কোটি টাকা করে দাবি করেছিল নিকিতা। তারপর ৩ কোটি টাকা করে দাবি করা হয়েছিল। ২০২০ সাল থেকে টাকা দিতে তাঁকে নিকিতার বাড়ির লোকও বাধ্য করতে বলে দাবি করেছে অতুল। নিজের সুইসাইড নোটে অতুল এও উল্লেখ করেছে যে, ভারতে এইভাবে বহু পুরুষ মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে। কিন্তু কেউ এই ঘটনাগুলি নিয়ে পরোয়া করে না। পণ প্রথা এবং অন্যান্য একাধিক বিষয়ের ফায়দা তুলে পুরুষদের জীবন অতিষ্ট করে তুলছেন নিকিতার মতো মহিলারা।