শেষ আপডেট: 7th November 2024 17:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শিলংয়ের একটি কলেজে বক্তব্য রাখার সময় কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হয়েছিল এপিজে আব্দুল কালামের। যে কাজ ভালবাসতেন, যে জায়গা ভালবাসতেন, সেখানেই মৃত্যু। বেঙ্গালুরুর এই ঘটনা মনে করিয়ে দিতে পারে ২০১৫ সালের কালামের চলে যাওয়ার ঘটনা। বাস চালাতে চালাতেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হল এক চালকের। ব্রেক কষে সামাল দিলেন কন্ডাকটর।
সোমবার ঘটনাটি ঘটে বেঙ্গালুরুর যশবন্তপুরে। বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিট্যান ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন বা বিএমটিসি-র এক চালক বাস নিয়ে যাচ্ছিলেন নেলামঙ্গলা থেকে যশবন্তপুরের দিকে। বাস চালাতে চালাতেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতের নাম কিরণ, বয়স ৩৯। তিনি বিএমটিসির ৪০ নম্বর ডিপোয় কাজ করতেন। সোমবার বাস নিয়ে যশবন্তপুর যাওয়ার সময় স্টিয়ারিংয়ে বসেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তারপরই অজ্ঞান হয়ে যান। সেসময় বাস ভর্তি লোক ছিল। কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। বাসটিকে নিয়ন্ত্রণ করেন কন্ডাক্টর।
এই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামনে এসেছে। যা দেখে কন্ডাক্টরকে বাহবা জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
প্রসঙ্গত, গত বছর সেপ্টেম্বরে বিএমটিসির তরফে একটি হেলথ অ্যানালিসিস প্রকাশ করা হয়। যাতে দেখা যায়, এই সংস্থায় কর্মরত ৭৬৩৫ জন, যাদের বয়স ৪৫-৬০ বছরের মধ্যে, কার্ডিও ভাসকুলার ডিসিসে আক্রান্ত। ৫.৫ শতাংশ কর্মচারী হার্টের অসুখে ভুগছে, কারও ওবেসিটি রয়েছে, কারও হাইপারটেনশনও রয়েছে।
জানা গিয়েছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যে আরও ২৫০০ জন কর্মচারীর শারীরিক পরীক্ষা করেও দেখা হবে। কাজের পরিসরে স্ট্রেস অনেক বেশি। শরীর চর্চার অভাব, খারাপ খাদ্যাভ্যাস ও সেই সঙ্গে রাতের ডিউটি থাকার জন্য শারীরিক সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক, বলছেন চিকিৎসক।
এই ঘটনা ভাবাচ্ছে বিএমটিসিকে। নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছে তারা, এমন শোনা যাচ্ছে।