বেঙ্গালুরুর একটি টেক সংস্থায় সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট এবং কোয়ালিটি অ্যানালিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন সুরেন্দ্র। বহু প্রজেক্টের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তবে এখন অটো চালিয়েই রোজগার করছেন তিনি। স্ট্রোক এবং পরিবারের একের পর এক বিপদ তাঁকে এই পথে আসতে বাধ্য করেছে।
বেঙ্গালুরুর ভাইরাল অটো চালক
শেষ আপডেট: 14 June 2025 10:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'আপনি কি এইচ আর?', বেঙ্গালুরুর অটোচালক (Bengaluru Auto Driver) সুরেন্দ্রর এই একটি প্রশ্ন এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। একজন দক্ষ আইটি কর্মী (IT Employee) থেকে অটোচালক। 'ভাগ্যের পরিহাসে' জীবন পাল্টেছে সুরেন্দ্রর। আবারও পুরনো পেশায় ফিরতে চাইছেন তিনি। তাঁর গল্পই সামনে এনেছেন গায়ত্রী গোপীকুমার। কীভাবে ওই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হল তাঁর, জানিয়েছেন লিংকডিনের একটি পোস্টে।
বেঙ্গালুরুর একটি টেক সংস্থায় সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট এবং কোয়ালিটি অ্যানালিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন সুরেন্দ্র। বহু প্রজেক্টের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তবে এখন অটো চালিয়েই রোজগার করছেন তিনি। স্ট্রোক এবং পরিবারের একের পর এক বিপদ তাঁকে এই পথে আসতে বাধ্য করেছে।
গায়ত্রী গোপীকুমার লিংকডিন পোস্টে (Linkdin Post) অটো যাত্রার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। আর পাঁচটা দিনের মতোই অটোয় চড়ে নিজের গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন তিনি। জরুরী ফোনে ব্যস্ত ছিলেন। ফোন রাখতেই চালক সুরেন্দ্র তাঁকে একটি প্রশ্ন করল, 'ম্যাডাম, আপনি কি এইচ আর? আপনি কি আমাকে একটা চাকরি পেতে সাহায্য করতে পারেন?'
একজন সাধারণ অটোচালকের (Auto Driver Seeks Job) মুখে এই কথা শুনে কৌতূহল জাগে গায়ত্রীর মনে। তিনি সুরেন্দ্রর সঙ্গে কথা বলে সবটা জানতে পারেন। জানা যায়, সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট, কোয়ালিটি অ্যানালিস্ট, টিম লিডার—সব ভূমিকায় অনবদ্য ছিলেন সুরেন্দ্র। কিন্তু একদিন হঠাৎ তিনি স্ট্রোকের শিকার হন। এরপর আসে পরিবারে অসুস্থতার ঝড়। বাধ্য হয়েই ছাড়তে হয় অফিস।
সঞ্চয় বলতে কিছু ছিল না। আর তখনই অটোচালনা হয় তাঁর রোজগারের উপায়। এটা তাঁর জন্য হার মানা ছিল না, বরং পরিবারের পাশে থাকার একটা সাহসী পদক্ষেপ।
গায়ত্রী লিংকডিন পোস্টে লিখেছেন, “তিনি (সুরেন্দ্র) আরও একবার কর্পোরেট দুনিয়ায় ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত। কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স, অপারেশন সাপোর্ট কিংবা ব্যাক-অফিসের কোনও কাজ চাইছেন, যেখানে তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।'
এই মন ছুঁয়ে যাওয়া পোস্টে গায়ত্রী আরও লেখেন, 'প্রত্যেকেরই একটা গল্প থাকে, আর কারও কারও গল্প হয় অসীম ধৈর্য এবং আবার উঠে দাঁড়ানোর কাহিনী।'
তিনি সেই পোস্টে সুরেন্দ্রর ছবি ও যোগাযোগের বিবরণও দিয়েছেন। অনুরোধ করেছেন, যেন বাকিরা সাধ্যমতো তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এই পোস্ট ভাইরাল হয়েছে দ্রুত। কেউ বলছেন, 'অসাধারণ এক রেজিলিয়েন্সের গল্প।' কেউ আবার পরামর্শ দিচ্ছেন, “উনি যদি লিঙ্কডিনে প্রোফাইল না রাখেন, তাহলে গায়ত্রী গোপীকুমার, আপনি কি সেটা বানাতে সাহায্য করতে পারেন?'
একজন মন্তব্য করেছেন, 'আপনার এই ধরণের মানবিক গল্প ভাগ করে নেওয়া এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানো সত্যিই প্রশংসনীয়। আশা করি উনি আবার নিজের জায়গা খুঁজে পাবেন।'