শেষ আপডেট: 21st October 2024 18:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানালেন বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে একটি আবেদনে তিনি অনুরোধ করেন, ভারতে বসবাসের অনুমতি যেন বৃদ্ধি করা হয়। তসলিমার এক্স অ্যাকাউন্টে একটি খোলা আর্জিতে অমিত শাহের কাছে এই দাবি করেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা।
তসলিমার দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ২০২২ সাল থেকে ভারত সরকার তাঁর বসবাসের অনুমতির মেয়াদ বাড়ায়নি। তার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে শাহের কাছে তিনি অনুরোধ জানান যে, তাঁর সুবিধার জন্য তিনি যেন এই আবেদন রক্ষা করেন।
.@AmitShah Dear AmitShahji ????Namaskar. I live in India because I love this great country. It has been my 2nd home for the last 20yrs. But MHA has not been extending my residence permit since July22. I'm so worried.I would be so grateful to you if you let me stay. Warm regards.????
— taslima nasreen (@taslimanasreen) October 21, 2024
বিভিন্ন বিষয়ে নারী প্রগতিশীল লেখালেখির জন্য বাংলাদেশের গোঁড়া ইসলামি সংগঠনগুলির বিরাগভাজন হন তসলিমা। ভারতেও তাঁকে এখন প্রায় আত্মগোপন করে থাকতে হচ্ছে। বিশেষত বাংলাদেশে পট পরিবর্তনের পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এখন এদেশে রয়েছেন বলে নয়া তদারকি সরকারের দাবি।
তসলিমা এক্সবার্তায় শাহকে লিখেছেন, অমিত শাহজি নমস্কার। আমি ভারতে আছি, কারণ এই মহান দেশকে আমি ভালোবাসি। গত ২০ বছর ধরে এদেশই আমার দ্বিতীয় ঘরবাড়ি। কিন্তু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গত ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে আমার বসবাসের অনুমোদনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেনি। তাই আমি খুব চিন্তায় রয়েছি। এই অবস্থায় আপনি যদি আমাকে এখানে থাকার অনুমতি দেন, তাহলে আমি কৃতজ্ঞ থাকব।
বাংলাদেশে তসলিমার বিরুদ্ধে অশ্লীল সাহিত্য রচনার অভিযোগে প্রবল বিক্ষোভ দানা বাধে। কট্টর ইসলামপন্থীদের চাপে হাসিনা সরকার তাঁকে ১৯৯৪ সালে গ্রেফতার করে। তার পরেই দেশ থেকে বিতাড়িত হতে হয়। ১৯৯৩ সালে তাঁর বিরুদ্ধে বিতর্কিত বই 'লজ্জা' লেখার কারণে ফতোয়া জারি করে ইসলামপন্থীরা। প্রথম দিকে কলকাতায় বাসা বাঁধলেও ২০০৪ এবং ২০০৭ সালের মধ্যে তসলিমাকে নিয়ে এ শহরেও গন্ডগোল বাধে। এবং তাঁকে কলকাতার ঠিকানা গুটিয়ে চলে যেতে হয়।
বাম আমলেও তাঁর লেখা 'দ্বিখণ্ডিত'কে নিষিদ্ধ করা হয়। এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশে কলকাতা ছাড়া হতে হয়। সেই সময় কিছুদিন তিনি সুইডেনে ছিলেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি দিল্লিতেই আছেন। তাঁর এখানে বসবাসের অনুমতি প্রতিবছর পুনর্নবীকরণ করতে হয়। এদিন তিনি আবেদন জানিয়েছেন তা প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎকারে এবং পোস্টে এই একই কথা বলেছেন।