বান্দ্রায় তিন বড় অপরাধ।
শেষ আপডেট: 16th January 2025 12:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুম্বইয়ের অভিজাত এলাকা বান্দ্রা। ফিল্মি তারকাদের বাসভূমি। আর সেই বান্দ্রা এখন যেন অপরাধের এপিসেন্টারে পরিণত হয়েছে। একের পর এক বড় তারকা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উপর হামলার ঘটনায় বান্দ্রা বারবার উঠে আসছে হেডলাইনে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকে এক দুষ্কৃতী ছুরি মেরে পালিয়ে যায় (Saif Ali Khan Knife Attack)।
লীলাবতী হাসপাতালে সইফের শরীরে অস্ত্রোপচার হয়েছে। সূত্রের খবর, তাঁর শরীরে ছ'টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে দু’টি গুরুতর।
পুলিশ জানিয়েছে, অপরিচিত ওই ব্যক্তি সইফের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করার সময় তাঁকে ছুরিকাঘাত করে। করিনা পরে এক বিবৃতিতে জানান, ‘সপরিবারে আমরা নিরাপদে আছি।’
শিবসেনা (ইউবিটি)-র নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বান্দ্রা তারকাদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এখানে নিরাপত্তা থাকা উচিত। কিন্তু তা কেন নেই? তারকাদের উপর আক্রমণ হলে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?’
সইফের উপর হামলার ঘটনাটি গত এক বছরে বান্দ্রায় তৃতীয় বড় অপরাধের ঘটনা। অক্টোবর ২০২৪-এ, এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে তাঁর ছেলে জিশানের অফিসের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। দুষ্কৃতীরা ছয়টি গুলি চালায়, যার মধ্যে তিনটি বাবার শরীরে লাগে। ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
এর আগে, ২০২৪-এর এপ্রিল মাসে সলমন খানের বাড়ি গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-এর সদস্যরা এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানায় পুলিশ। সলমন সম্প্রতি তাঁর বাড়ির সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে বুলেটপ্রুফ ব্যালকনি এবং হাই-রেজোলিউশন সিসিটিভি ক্যামেরা।
এর পরে ঘটে গেল সইফ আলি খানের ঘটনা।
মুম্বই আন্ডারওয়ার্ল্ডের ঘটনা, সমুদ্র পথে চোরা চালান ইত্যাদি বিষয় সেই সত্তরের দশক থেকে হিন্দি সিনেমার প্রতিপাদ্য ছিল। অপরাধ মানেই যেন মুম্বই। দাউদ, ছোটা রাজন, পুলিশি এনকাউন্টার মায় মুম্বইয়ের একটা দিক বাস্তবেই অন্ধকারময়। তবু তা গত কয়েক বছরে সেই সব কার্যকলাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এনকাউন্টারের ঘটনা ইদানীং কমই শোনা যায়। তবে বলিউডের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে বেশ ঘন ঘন। বলিউডে রিল লাইফের সঙ্গে রিয়েল লাইফের যেন ফারাক নেই।
প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী দাবি করেছেন, ‘মুম্বইয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আঘাত করা হচ্ছে।’ পুলিশের একাধিক দল দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। তবে একের পর এক ঘটনায় মুম্বই পুলিশের ভূমিকা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বান্দ্রার অভিজাত বৃত্ত ও তারকাদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার দাবি এখন তুঙ্গে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, তারা দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে বদ্ধপরিকর।