শেষ আপডেট: 13th October 2024 15:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুম্বইয়ের বান্দ্রায় শনিবার প্রকাশ্যে খুন হন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা অজিত পাওয়ারের ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির নেতা বাবা সিদ্দিকি। গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। ঘটনায় দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরেকজনের খোঁজ চলছে। আততায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অতর্কিতে হামলা চালিয়ে গতরাতে খুন করা হয় বিখ্যাত এই নেতাকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই খুন পরিকল্পনা মাফিক। ঘটনার ব্লু প্রিন্ট আগেই তৈরি করা ছিল। সেই মতো ঘটনাস্থল রেইকিই করেছিল আততায়ীরা।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, তিন আততায়ী কেউই মুম্বইয়ের বাসিন্দা নয়। ধৃত দু'জনের মধ্যে একজন, গুরমেইল বলজিৎ সিং (২৩) হরিয়ানা ও আরেকজন, ধরমরাজ রাজেশ কশ্যপ (১৯) উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। খুনের প্রায় এক মাস আগে থেকে মুম্বইয়ে ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে তারা। মাসিক ১৪-১৫ হাজার টাকা দিয়ে কুর্লা এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নেয়।
এরপর শুরু হয় রেইকি। ঘটনাস্থল রেইকি করা চলেছে প্রায় ১৫ দিন আগে থেকেই। বাবা সিদ্দিকির বাড়ির লোকেশন, কাজের জায়গা ও তিনি কোথায় কোথায় যেতেন, কোথায় কখন থাকতেন, সব রেইকি করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ভাড়া বাড়িতেই আজ থেকে প্রায় ১৫-১৬ দিন আগে একটি কুরিয়র আসে। সেই পার্সেলে ছিল পিস্তল। যা দিয়ে শনিবার ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় বাবা সিদ্দিকিকে।
মোট ৬টি বুলেট লাগে তাঁর শরীরে। তার মধ্যে ৪টি বুকে। ছেলের অফিস থেকে বেরোনোর পর এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই ঘটনায় মূল তিনজন হামলাকারীর সঙ্গেও আরও কেউ জড়িত ছিল। যে বাবা সিদ্দিকির সমস্ত তথ্য গোপনে এই তিনজনকে দিচ্ছিল।
আততায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাদের এই খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছিল। ৫০,০০০ টাকা করে দেওয়াও হয়েছিল। শনিবার একটি অটোতে করে তারা প্রথমে ঘটনাস্থলে আসে। বাবা সিদ্দিকি তাঁর ছেলে জিশান সিদ্দিকির অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠছিলেন, সেসময় তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়।
এই খুনের পিছনে ঠিক কার হাত রয়েছে তা, রবিবার ভোর পর্যন্ত জানা না গেলেও, সকাল হতেই লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং খুনের দায় স্বীকার করে। আজই প্রাক্তন মন্ত্রীর দেহের ময়নাতদন্ত হয় মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে।