সংগৃহীত চিত্র
শেষ আপডেট: 16th November 2024 14:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১২ অক্টোবর ছেলে জিশানের অফিসের সামনে খুন হন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি। দায় নেয় লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠী। সলমন খানের ঘনিষ্ট বলেই চরম পরিণতি, এমন শোনা যায়। এরপর এই ঘটনায় একাধিক তথ্য হাতে আসে পুলিশের। অভিযুক্তদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর ফের সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য।
জানা যায়, ১৪ এপ্রিল সলমনের বাড়ির সামনে গুলি চলার ঘটনার মাত্র ১০ দিনের পরই বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ছক কষে আততায়ীরা। সলমনের বাড়ির সামনে কয়েক রাউন্ড গুলি চলার ঘটনার পরই ঠিক করা হয়, সলমনের ঘনিষ্ঠ কাউকে টার্গেট করা হবে। তারপরই উঠে আসে বাবা সিদ্দিকির নাম।
এই খুনের মাথা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই 'ডাব্বা কলিং' নামের একটি অবৈধ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ সিস্টেম ব্যবহার করত বলে উঠে এসেছে তদন্তে। এই ডাব্বা কলিংয়ের মাধ্যমেই আনমোল শিব কুমার গৌতম, জিশান আখতার, শুভম লংকার, সুজিত সিংদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত এবং হুমকি দেওয়ার কাজ করত। গোষ্ঠীর সদস্যরা নিজেদেরই একটি টেলিকমিউনিকেশন হাব তৈরি করেছিল। যার মাধ্য়মে খুন ও সেই সম্পর্কিত তথ্য আদান প্রদান করা হত। এর ফলে কথোপকথনের কোনও তথ্য পুলিশের হাতে চট করে আসার সম্ভাবনা ছিল না।
বাবা সিদ্দিকি খুনে জড়িত ছিল শিব কুমার গৌতম নামের বিষ্ণোই গোষ্ঠীর সদস্য। বাবা সিদ্দিকিকে এই শিব কুমারই গুলি করে বলে জানতে পারে পুলিশ। আরও জানা যায়, গুলি চালানোর পর পরিস্থিতি বুঝতে ও মৃত্যু নিশ্চিত করতে শিব কুমার ২০ মিনিট এলাকাতেই ছিল। পরে পিস্তল রাখা ব্যাগ, যাতে শার্ট ও আধার কার্ডও ছিল, সেটি ফেলে দেয়। পরে একটি ভিড়ে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সেখানে পুলিশকে দেখতে পাওয়ায় জামা কাপড় পাল্টে ফেলে।
অটো নিয়ে এরপর লীলাবতি হাসপাতালেও পৌঁছয় শিব কুমার। ১০.৪৭ নাগাদ বাবা সিদ্দিকির মৃত্যু হয়। সেটা শুনে মোবাইল ফেলে কুর্লা স্টেশনে যায়।
এদিকে বাবা সিদ্দিকি খুনে জড়িত শুভম লংকারকে নিয়েও একাধিক তথ্য হাতে পায় পুলিশ। জানা যায়, ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে অস্ত্রর প্রশিক্ষণ নিয়েছিল শুভম, জুলাই মাস নাগাদ। সেখানে একে ৪৭ চালানোরও প্রশিক্ষণ শুভম পায় বলে খবর। এর সঙ্গে মাওবাদীদের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। সমস্ত ঘটনা তদন্ত চলছে।