শেষ আপডেট: 16th September 2024 15:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অযোধ্যার রামমন্দিরের এক তরুণী সাফাইকর্মীকে লাগাতার গণধর্ষণের অভিযোগ! ঘটনাকে কেন্দ্র করে যোগীরাজ্যে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, অন্য জায়গায় কাজ দেওয়ার নামে স্থানীয় এক গেস্ট হাউসে তরুণী পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার তদন্তে নেমে অযোধ্যার বাসিন্দা ৮ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার অভিযোগ, বংশ চৌধুরী নামে প্রধান অভিযুক্ত তাঁকে রামমন্দিরের সাফাইকর্মীর কাজ ছেড়ে মোটা মাইনের চাকরির অফার দেয়। এরপর ওই তরুণী পড়ুয়াকে অযোধ্যার এক গেস্ট হাউসে কাজের কথাবার্তা পাকা করার জন্য ডেকে পাঠায় অভিযুক্তরা। সেখানেই রামমন্দিরের ওই সাফাইকর্মীকে মূল অভিযুক্ত বংশ ও তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
১৬ থেকে ১৮ অগস্ট টানা দু’দিন নারকীয় অত্যাচার চালানোর পর কোনওমতে অভিযুক্তদের চোখ এড়িয়ে পালিয়ে আসেন তরুণী। তাঁর দাবি, নিজের বাড়ি ফিরলেও মুখ বন্ধ রাখার জন্য লাগাতার চাপ দিচ্ছিল অভিযুক্তরা।
নির্যাতিতা আরও জানান, এরপর ফের ২৫ অগস্ট মন্দিরে যাওয়ার পথে তাঁকে ফের অপহরণ করে জোর করে গাড়িতে তোলে বংশ। গাড়ির ভিতর বংশ ছাড়াও উদিত কুমার, শতরাম চৌধুরী এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের দুই যুবক ছিল বলে দাবি তাঁর। গাড়িতে তুলেই ওই কলেজ পড়ুয়ার যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
এরপরই গাড়িতে ধস্তাধস্তি শুরু হলে কিছুদূর গিয়ে গাড়িটি রাস্তার এক ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। সেখান থেকে কোনওমতে পালিয়ে বাঁচেন বিএ তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। পরে স্থানীয় থানায় গিয়ে পুরো ঘটনার কথা খুলে বলেন। অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে ঘটনায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনা আসলে যোগীরাজ্যের দুর্দশার ছবিই সামনে আনল। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতেও সরব হয়েছেন তিনি।