শেষ আপডেট: 11th January 2025 08:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের মুসলিম সমাজকে নিশানা করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রয়াগরাজ অর্থাৎ এলাহাবাদে মহাকুম্ভের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে যোগী আপাতত সেখানে ক্যাম্প করেছেন। নিয়ম করে সাংবাদিক সম্মেলন, বিশেষ সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। শুক্রবার রাতে হিন্দু সমাজের প্রতি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান দেশে যে সব মুসলিম উপসনালয় নিয়ে বিবাদ চলছে, সেগুলিকে মসজিদ বলবেন না। বলবেন বিতর্কিত ধাঁচা।
বাবরি মসজিদকেও বিশ্বহিন্দু পরিষদ সহ হিন্দুত্ববাদীরা বিতর্কিত ‘ধাঁচা’ বলত। তবে বাবরি বিতর্কের মীমাংসা হয়ে যাওয়ার পর ‘ধাঁচা’ শব্দটির ব্যবহার কমে এসেছিল। একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যোগী শব্দটির ব্যবহার বাড়াতে বলেছেন।
প্রয়োগরাজের যে জায়গায় মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হয় উত্তর প্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি সেটি তাদের জমি। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জবাবে ওয়াকফ বোর্ডকে মাফিয়া বোর্ড বলে দেগে দিয়েছেন। বলেছেন জোর করে কুম্ভ মেলার ময়দান দখল করেছে। যোগীর প্রশ্ন হাজার বছর ধরে কুম্ভ মেলা হয়ে আসছে। এই জমি কী করে ওয়াকফ বোর্ডের হতে পারে?
দেশের একাধিক মসজিদ নিয়ে বর্তমানে বিতর্ক চলছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি, সাতটি মসজিদ আছে উত্তর প্রদেশে। হিন্দুত্ববাদীরা সেগুলি মন্দির বলে দাবি করেছে। হিন্দুপক্ষের দাবি মেনে নিম্ন আদালত অনেকগুলি মসজিদে জরিপের আদেশ দেয়।
যোগি রাজ্যে বিতর্কিত সাত মসজিদের একটি পশ্চিম উত্তর প্রদেশের সম্ভল জেলার জামা মসজিদে জরিপ ঘিরে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন গতমাসে। বিতর্কিত মসজিদের তালিকায় বারাণসীর জ্ঞানবাপী এবং মথুরার শাহি ইদগা মসজিদও আছে। সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে মসজিদে জরিপ বন্ধ রাখা এবং নতুন করে একই ধরনের নির্দেশ না দিতে নিম্ন আদালতগুলিকে বলেছে।
যোগী বলেন, যতদিন না মামলার মীমাংসা হচ্ছে ততদিন সেগুলিকে মসজিদ বলবেন না। আইনের দৃষ্টিতে সেগুলি বিতর্কিত ধাঁচা। এই কথা বলতে গিয়ে যোগী ইসলামের বিধানের কথাও শুনিয়েছেন। বলেছেন, অন্যের উপাসনাস্থল দখল ইসলাম অনুমোদন করে না। তাঁর আরও যুক্তি, ইসলামে উপসনার জন্য মসজিদ আবশ্যিক নয়। কিন্তু হিন্দুদের মন্দিরে পুজো দেওয়া প্রথা।