শেষ আপডেট: 15th October 2024 18:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্বপ্ন যত বড়ই হোক না কেন, অধ্যবসায় আর পরিশ্রম থাকলে তা সম্ভব হবেই। “স্বপ্ন সেটা নয়, যেটা মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে, স্বপ্ন সেটাই যেটা পূরণের প্রত্যাশা মানুষকে ঘুমোতে দেয় না। ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের সেই কালজয়ী কথাই যেন প্রতিষ্ঠা করলেন ওড়িশার জয় কিশোর প্রধান।
বয়স যে কোনও বাধাই নয়, সেই দৃষ্টান্তই গড়ে তুলেছেন তিনি। ৬৪ বছরের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী জয় কিশোর। অবসর জীবন পুরোপুরি অন্যভাবে কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। বয়সের গণ্ডি ভেঙে অবসরের পরে নতুন জীবন শুরু করেছেন তিনি। অবসর নেওয়ার পর মানুষ যখন ঘরবন্দি হয়ে যান, সেই সময়েই জয় কিশোর পাশ করেছেন সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-এ।
ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন ছিল প্রথম থেকেই, সেই স্বপ্নই পূরণ করেছেন নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে। ২০২০ সালে তিনি তাঁর ডাক্তার হওয়ার কঠিন ধাপটাই পার করে ফেলেছেন। ব্যাঙ্ককর্মী হিসেবে অবসর গ্রহণের পর এমবিবিএস পড়ার যাত্রা শুরু করেছেন জয় কিশোর।
জয় কিশোরের গল্প সত্যিই অনুপ্রেরণা জোগায়। ৬৪ বছর বয়সে অবসর গ্রহণের পর ডাক্তারি পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি। তারপর থেকেই চলে পরিশ্রম। বর্তমানে তিনি নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পথে পা রেখেছেন। প্রমাণ করেছেন, যে কোনও বয়সেই নতুন কিছু শেখা এবং লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। নিট পাস করার পর বীর সুন্দর সাঁই ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তির রাস্তা পাকা হয়ে যায়।
নিট-এ বসার ক্ষেত্রে বয়সের কোনও সীমা রাখেনি কেন্দ্র সরকার। তাই নিজের যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে সেই দিকেই পা বাড়িয়েছেন জয় কিশোর। অবসর নেওয়ার পর নতুন একটি অধ্যায় শুরু করেন তিনি। ৬৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তি, যিনি পূর্বে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন, সম্প্রতি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে অবসর নেন তিনি। অবসর গ্রহণের পর তিনি তাঁর স্বপ্নের পেছনে ছুটতে শুরু করেন। সংসার সামলানোর পাশাপাশি একটি অনলাইন কোচিংয়ে ভর্তি হন। নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি মোটেই সহজ নয়। ফলে দিনরাত এক করে এই সাফল্য অর্জন করেছেন জয় কিশোর। যে দেশে বয়সের কারণে মানুষের পড়াশোনা থমকে যায় সেখানে উজ্জ্বল হতে পারেন জয় কিশোর।