শেষ আপডেট: 7th January 2025 15:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কয়লা খনিতে আচমকাই জল ঢুকে পড়েছিল। সেখানে কাজ করতে ঢুকে সোমবার আটকে পড়েছিলেন মোট ২৫ জন শ্রমিক। রাতভর সেখানে আটকে থাকার পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই জোরকদমে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। শ্রমিকদের উদ্ধারের পর দ্রুত তাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে খনির বাইরেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেনার হেলকপ্টার। এদিকে খনির ভিতরে জল জমে থাকার কারণে ডুবুরি নামিয়ে উদ্ধারকাজের চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার সকালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। জানা গেছে, ২৫ জন শ্রমিক ভিতরে আটকে পড়লেও পরে ১৬ জন কোনওভাবে বেরিয়ে আসতে পারলেও ৯ জন খনির মধ্যেই আটকে পড়েন। জানা গেছে আটক ৯ শ্রমিকের মধ্যে বাংলার জলপাইগুড়ির বাসিন্দা এক শ্রমিক রয়েছেন। এখনও তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যুর খবর উদ্ধারকারী দল নিশ্চিত করেছে। তবে বাকি ৬ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁদেরও মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন তদন্তকারীরা। উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার অসমের ওই কয়লা খনিতে কাজ করতে ঢুকে আটকে পড়েছিলেন ৯ শ্রমিক। আচমকা সেখানে জল ঢুকে পড়ায় সমস্যা দেখা দেয়।
মঙ্গলবার সকালে তিন শ্রমিকের দেহ খনিতে দেখতে পান উদ্ধারকারীরা। মৃতদেহ জলে ভেসে থাকলেও ৩০০ ফুট গভীর খনি থেকে এখনও শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে খবর।
#WATCH | In response to a tragic incident at a coal mine in the remote “3 Kilo” area of the Dima Hasao region, close to the Assam-Meghalaya border, the Indian Army and NDRF have launched a swift Humanitarian Assistance and Disaster Relief (HADR) mission to aid in rescue… pic.twitter.com/yvtktk9Iuw
— ANI (@ANI) January 7, 2025
সোমবার দুপুরের পর দুর্ঘটনার খবর পেয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করে পুলিশ, দমকল, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। শ্রমিকদের উদ্ধারের পর দ্রুত তাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে খনির বাইরেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেনার হেলিকপ্টার। শেষ পাওয়া খবর, ক্রেন ও দড়ি ব্যবহার করে খনিতে নেমে শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা করলেও ভিতরে অতিরিক্ত জল থাকার কারণে ডুবুরি নামিয়েও জোর কদমে তল্লাশি চলছে। পাশাপাশি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আকাশ চক্কর কাটতে দেখা যাচ্ছে সেনাবাহিনীকে। উদ্ধারকাজে ভারতীয় নৌবাহিনীকেও মোতায়েন করা হয়েছে।
উত্তর পূর্বের রাজ্য অসম, মেঘালয়ে এমন দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়। সেখানে কোনও যন্ত্রের সাহায্যে নয়, অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতিতে শ্রমিকরাই গর্ত খুড়ে খনিতে ঢুকে কয়লা উত্তোলন করেন। ২০১৪ সালে মেঘালয়ে একটি দুর্ঘটনার পর এই ‘র্যাট-হোল মাইনিং’ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও র্ম্রমিয়ে চলছে কয়লা তোলার কাজ। যার জেরে কোনওরকম নিরাপত্তা না নিয়ে খনিতে ঢুকে কয়লা তুলতে গিয়ে একের পর একে শ্রমিকের মৃত্যু হচ্ছে বলে খবর।