শেষ আপডেট: 16th April 2024 19:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাওবাদী দমনে নিরাপত্তাবাহিনী বড় সাফল্য পেল ছত্তীসগড়ে। গুলির লড়াইয়ে খতম ১৮ জন মাওবাদী। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক অস্ত্র। এই ১৮ জনের মধ্যে শীর্ষ এক মাওবাদী নেতা শঙ্কর রাও আছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। রাজ্যের কাঁকের জেলায় এই গুলির লড়াই চলে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে যৌথ অভিযান শুরু করে বিএসএফ এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ ফোর্স। এই ফোর্স ২০০৮ সালে মাও দমনের লক্ষ্যেই তৈরি হয়েছিল। যে শীর্ষ নেতাকে নিকেশ করা হয়েছে, তার মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ। গুলির লড়াইয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক একে-৪৭ রাইফেল এবং বেশকিছু গ্রেনেড।
বস্তারের আইজি জানিয়েছেন, এই অভিযানকে সাম্প্রতিক সময়ের সবথেকে বড় মাওবাদী দমন অভিযান বলা যেতে পারে। এখনও ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে। আরও মাওবাদী লুকিয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
#WATCH | "Bodies of 18 naxals recovered from encounter site in Chhotebethiya of Kanker. 3 jawans were injured in the operation. Search operation underway. This can be seen as one of the biggest anti-naxal operations in the area. The operation was launched after information of the… pic.twitter.com/mI0IuW8KfI
— ANI (@ANI) April 16, 2024
গত ৬ এপ্রিল বিজাপুরে যৌথ অভিযান চালায় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা পুলিশের বিশেষ দল ও মাওবাদী বিরোধী ফোর্স। ছত্তীসগড়ে তেলঙ্গানার সীমানা সংলগ্ন বিজাপুর জেলায় পুজারী কাঙ্কের জঙ্গলে তল্লাশি চালানো হয়। সঙ্গে ছিল ছত্তীসগড় পুলিশের একটি বাহিনীও। যৌথ বাহিনীর গুলির লড়াইয়ে তিন মাওবাদী মারা যায়।
তারও আগে ২ তারিখ আরও ৯ জনকে খতম করা হয়। সেই অভিযান চালিয়েছিল ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, সিআরপিএফ এবং কোবরা বাহিনীর সদস্যরা। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় বস্তারে ভোট হওয়ার কথা। স্বাভাবিকভাবেই ভোটের আগে এই অভিযানকে সাফল্য হিসেবে দেখছেন বাহিনীর কর্তারা।