শেষ আপডেট: 5th March 2025 15:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জনসংখ্যার নিরিখে লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে 'বিদ্রোহ' বজায় রাখলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। চেন্নাইয়ে রাজ্যের সর্বদল বৈঠকে আসন পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন ডিএমকে প্রধান। একইসঙ্গে এনিয়ে তাঁর লড়াইকে অন্যান্য দক্ষিণী রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কথাও বলেন। ২০২৬ সালে সংসদীয় কেন্দ্র পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া চালু হতে পারে। তার আগে তামিলনাড়ুর অবস্থান নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার একটি সর্বদল বৈঠক ডাকেন স্ট্যালিন। সেই বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সেই প্রক্রিয়া খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
সর্বদল বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে তামিলনাড়ু দুর্বল হয়ে পড়বে। এই প্রক্রিয়া দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতি একটি বিপজ্জনক প্রবণতা। শাসকদল ডিএমকে ছাড়াও রাজ্যের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতা এই বৈঠকে হাজির ছিলেন। শুধু বিজেপি, তামিল মানিলা কংগ্রেস ও এনটিকে এই বৈঠক বয়কট করে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আসন্ন জনগণনার উপর নির্ভর করে সংসদীয় প্রতিনিধিত্ব অধিকার তৈরি হবে। যার উপর ভিত্তি করে সব রাজ্যের জনসংখ্যার নিরিখে আসন সংখ্যা কমবে বা বাড়বে।
প্রস্তাবটি মনে করে, তামিলনাড়ু সহ দক্ষিণী রাজ্যগুলির সংসদীয় আসন কমে যাওয়া পুরোপুরি অযৌক্তিক। কারণ এই রাজ্যগুলি অত্যন্ত কঠোরভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ করায় সেই হারে সন্তান উৎপাদন হয়নি। গৃহীত প্রস্তাবে এবং স্ট্যালিন আলাদা করে বলেন, ১৯৭১ সালের জনগণনার হিসাব আরও অন্তত ৩০ বছর চালু রাখা উচিত। এ বিষয়ে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে একটি যৌথ অ্যাকশন কমিটি গঠনের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। এই কমিটির কাজ হবে আসন পুনর্বিন্যাসের লড়াইয়ে অন্য দক্ষিণী রাজ্যগুলিকে যুক্ত করা।