চাকরির যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বহু প্রার্থী সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন।
শেষ আপডেট: 5 April 2025 06:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্বাধীনতার প্রায় ৮০ বছরের পথ পেরোতে চলেছি আমরা। কিন্তু, এতদিনেও যোগ্য প্রার্থীদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে সরকারি চাকরির বন্দোবস্ত করতে পারিনি আমরা। এক পর্যবেক্ষণে এই আক্ষেপ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ আদালত সরকারি চাকরির অভাবের কথা তুলে ধরে তার উপর জোর দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের মতে, খুব কম সংখ্যক সুযোগ থাকার ফলে চাকরির যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বহু প্রার্থী সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন।
আদালতের বক্তব্য, স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর প্রায় ৮০ বছরের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি আমরা। কিন্তু, এতদিনেও আমরা যারা সরকারি চাকরি করতে চায়, তাদের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি চাকরির সংস্থান করতে পারিনি। সেই লক্ষ্যপূরণ করতে পারা যায়নি। অথচ, দেশে যোগ্য প্রার্থীর কোনও অভাব নেই। যোগ্য প্রার্থীরা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন একটি সরকারি চাকরি পাওয়ার আশায়। কিন্তু, পর্যাপ্ত চাকরির সুযোগের অভাবের জন্য তাঁরা অপেক্ষার দিন গুনছেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চ এই মতপ্রকাশ করে। বিহারের একটি মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত পাটনা হাইকোর্টের পূর্ববর্তী রায় বহাল রাখে। যেখানে পাটনা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের একটি বিধিকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছিল। বিহারের নিয়ম ছিল সরকারি চাকরি চৌকিদার পদটি বংশানুক্রমিকভাবে চালু থাকবে। কিন্তু, সেই প্রথাকে পাটনা উচ্চ ন্যায়ালয় সংবিধানের মান্যতা নেই বলে জানিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, বিহার চৌকিদার ক্যাডার (সংশোধনী) বিধি, ২০১৪-তে বলা রয়েছে, কোনও চৌকিদার অবসর নেওয়ার সময় তাঁর উপর নির্ভরশীল কোনও উত্তরাধিকারীকে মনোনীত করে যেতে পারেন। তিনি তাঁর জায়গায় সরকারি চাকরিটি পাবেন। পাটনা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই বিধিকে সংবিধানের সাম্যের অধিকার এবং সরকারি চাকরিতে সমান সুযোগের অধিকার ভঙ্গকারী বলে রায় দেয়।