ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 14 February 2025 10:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রবিবারই ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুর জেলার ইন্দ্রবতী ন্যাশনাল পার্কের জঙ্গলে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সন্দেহভাজন মাওবাদীদের সংঘর্ষে ৩১ জন সন্দেহভাজন মাওবাদী খতম হয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন দুই জওয়ানও। আহত হয়েছেন আরও দু’জন। নিহত এক জওয়ান ছত্তীসগঢ় ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডে কর্মরত ছিলেন। অন্য জন স্পেশাল টাস্কফোর্সের সদস্য ছিলেন।
এবার তাদের মধ্যে ২৮ জনের পরিচয় সামনে আনল ছত্তীসগড় পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ এবং বাকিরা মহিলা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৬ জানুয়ারী আইইডি বিস্ফোরণের মূল পান্ডা-সহ ২৮ জন চিহ্নিত মাওবাদীর মাথার দাম ছিল ১.১০ কোটি টাকা। যার মধ্যে আটজন নিরাপত্তা কর্মী-সহ মোট ন'জনের মৃত্যু হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে নিষিদ্ধ ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)-এর পশ্চিম বাস্তার বিভাগের সম্পাদক হুঙ্গা কর্মাও ছিলেন। যার মাথার দাম ধরা হয়েছিল ৮ লাখ টাকা।
রবিবার ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুর জেলার ইন্দ্রবতী ন্যাশনাল পার্কের জঙ্গলে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সন্দেহভাজন মাওবাদীদের সংঘর্ষ বাধে। এদিন সকালেই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে নামে নিরাপত্তাবাহিনীর একাধিক বিভাগ। ৩১ জন সন্দেহভাজন মাওবাদীর মৃত্যুর পরও এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলে বলে খবর।
১৯৯৬ সালে কর্মা নিষিদ্ধ সংগঠনে যোগদান করেন। বিজাপুর জেলার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে আটটি অপরাধের মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পুলিশ দল এবং ক্যাম্পের উপর আক্রমণ, অপহরণ এবং খুনের অভিযোগ। নিহত ৩১ জন মাওবাদীর মধ্যে ২৮ জনের মৃতদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, বাকি তিনজনের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
চলতি বছরের শুরুতে ইন্দ্রবতী ন্যাশনাল পার্কের জঙ্গলে এই নিয়ে দ্বিতীয় মাওবাদী বিরোধী অভিযান চলল। এর আগে, গত ১২ জানুয়ারি সেখানে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ১২ সন্দেহভাজন মাওবাদীর মৃত্যু হয়। সবমিলিয়ে চলতি বছরে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত সন্দেহভাজন মাওবাদীর সংখ্যা বেড়ে ৭৫ হয়ে গেল।
এর মধ্যে গত ২১ জানুয়ারি ১৬ জন সন্দেহভাজন মাওবাদীর মৃত্যু হয় উদান্তি-সীতানন্দী টাইগার রিজার্ভের কুলহাড়িঘাটে। ১৬ জানুয়ারি বিজাপুরেই ১২ জনের মৃত্যু হয়। অভিযান চলাকালীন ন’জন নিরাপত্তাকর্মী এবং এক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর খবরও সামনে আসে।