শেষ আপডেট: 26th March 2024 19:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আবগারি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর মানসিক তো বটেই, শারীরিক চাপ বাড়ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, তাঁর সুগার লেভেল আগের থেকে কমে গেছে। শারীরিকভাবেও কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন কেজরিওয়াল। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার।
গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন পরিবারের সঙ্গে দেখা করছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে তাঁকে ২৪ ঘণ্টাই সিসিটিভি ক্যামেরার নজরে রাখা হচ্ছে। কেজরিওয়াল ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর সুগার লেভেল কমে যাওয়ায় বাড়তি সতর্কতাও নিচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
জেলে থাকাকালীনও পরপর দুবার সরকারি নির্দেশ দিয়েছেন কেজরিওয়াল। প্রথমে তিনি জল পরিষেবা সংক্রান্ত নির্দেশ দেন, দ্বিতীয়বার মহল্লা ক্লিনিক সংক্রান্ত। জেলে বসে এভাবে একজন মুখ্যমন্ত্রী সরকারি নির্দেশ কী করে দিচ্ছেন তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে, তা এখনও প্রমাণিত নয়। ফলে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে তাঁর আইনি বাধা নেই।
বিষয়টি নিয়ে চর্চা অবশ্য এখানেই থেমে নেই। কারণ, আইন বিশেষজ্ঞদেরই অন্য একটি অংশ মনে করছে, কেজরিওয়াল যা করছেন তাতে আগামী দিনে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে। কারণ একজন মুখ্যমন্ত্রী যা যা কাজ করেন তার সবটা জেল থেকে করা সম্ভব নয়।
বিতর্ক ঠিক তখন থেকেই তৈরি হয়েছিল যখন, গত বৃহস্পতিবার আপ-এর তরফে জানানো হয়েছিল যে, গ্রেফতার হয়ে জেলে গেলেও কেজরিওয়াল জেল থেকেই সরকার চালাবেন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হয়েছেন।
জার্মানি দুদিন আগে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে বার্তা দিয়েছিল। জানানো হয়েছিল, তারা আশা করছে ভারত সরকার এই ব্যাপারে বিচারবিভাগীয় স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে পদক্ষেপ করবে। এরপর মঙ্গলবার বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। ওয়াশিংটনের এক শীর্ষ মুখপাত্র সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, গ্রেফতারির ঘটনায় নিরপেক্ষ ও দ্রুত আইনি পদক্ষেপ চাইছেন তারা। বলাই যায়, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারির ঘটনায় সাউথ ব্লকের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে।