শেষ আপডেট: 3rd January 2025 11:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে ফের একবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রয়োগই বিচ্ছিন্নতাবাদের বীজ বপন করেছিল। যা পরবর্তীতে জঙ্গি কার্যকলাপে ফুলেফেঁপে উঠেছিল। কাশ্মীরি যুবসমাজের মনে ভারতের সঙ্গে আলাদা হওয়ার বীজ বপনের জন্য দায়ী ৩৭০ ধারা। এর জন্যই কাশ্মীরি যুবকদের মনে ধারণা তৈরি হয়েছিল যে, ভারত ও কাশ্মীরের সম্পর্ক অস্থায়ী, কিছুদিনের। দেশে যখন আরও মুসলিম সংখ্যাধিক্যের এলাকা রয়েছে, সেখানে এই কারণেই জঙ্গি কার্যকলাপ ছড়িয়ে পড়েনি, মত শাহের।
বৃহস্পতিবার 'জে অ্যান্ড কে অ্যান্ড লাদাখ থ্রু দ্য এজেস' নামে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে অমিত শাহ এই কথাগুলি বলেন। তিনি ভাষণে বলেন, আমাকে মাঝেমধ্যেই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় যে, ৩৭০ ধারার সঙ্গে জঙ্গিবাদের সম্পর্ক কী। আসলে এই ধারাই কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের বীজ বপন করেছিল। কাশ্মীরের মতোই গুজরাত ও রাজস্থানও তো পাকিস্তান সীমান্তে রয়েছে। সেখানেও প্রচুর মুসলিম বাস করেন। ভারতের অনেক জায়গাই আছে, যেখানে মুসলিমরা বেশি সংখ্যায় থাকেন। সেখানে জঙ্গিপনা ছড়ায়নি কেন, প্রশ্ন তোলেন শাহ। তাঁর যুক্তি, ৩৭০ ধারাই কাশ্মীরি যুবদের মনে এই ধারণা গড়ে দিয়েছিল যে, কাশ্মীরের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের সম্পর্ক কিছুদিনের জন্য। তাই তাঁরা আলাদা হওয়ার দাবি তুলেছিলেন। যা থেকে জন্ম নেয় সন্ত্রাসবাদের।
আর এই জঙ্গিপনার কারণেই ভূস্বর্গে ৪০,০০০ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, এটাই দুঃখের, বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড শাহ বলেন, মোদী সরকারই একটি দৃঢ় পদক্ষেপ করেছে ৩৭০ ধারা বিলোপের জন্য। এই সিদ্ধান্তই কাশ্মীরকে এক নয়া কাশ্মীরে পরিণত করার অনুঘটকের কাজ করবে। ৩৭০ ধারা বিলোপের পরই উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ ৭০ শতাংশ কমে গিয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে কংগ্রেস যা ইচ্ছা তা বলতে পারে।
শাহ আরও বিস্তারিতে বলেন যে, এই ধারা এবং ৩৫এ কাশ্মীরের সংহতির পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এর বিলোপে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হওয়ায় কাশ্মীরি ভাষারও নব মূল্যায়ন ঘটেছে। শাহ আরও জোর দিয়ে বলেন, কাশ্মীর কাশ্যপ-এর ভূমি বলে পরিচিত। সেইসঙ্গে কাশ্যপের নামে কাশ্মীরের নতুন নামকরণেরও ইঙ্গিত শোনা যায় তাঁর মুখে। শাহ এই বই প্রসঙ্গে বলেন, এখানে কাশ্মীরের ৮০০০ বছরের ইতিহাস লেখা রয়েছে। ভগ্নপ্রায় মন্দিরের শিল্পকলা থেকে বৌদ্ধধর্ম, ধ্বংসপ্রায় মন্দির, সংস্কৃতের ব্যবহার, মহারাজা রঞ্জিত সিং থেকে ডোগরা বংশের শাসনকাল সবকিছুই প্রমাণ করে কাশ্মীর ভারতেরই অঙ্গ।