সম্পত্তির হিসেব নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
শেষ আপডেট: 17th May 2024 20:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হাঁক দিয়েছিলেন, 'দেশ কি গদ্দারোঁ কো, গোলি মারো সালোঁ কো'। বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল সেসব। এবার নির্বাচন কমিশনের কাছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া, তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর নিজেই হিসেব দিয়ে দিলেন, তাঁর সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে একটি আস্ত পিস্তল ও রাইফেল। দেখা যাচ্ছে, গত পাঁচ বছরে তাঁর সম্পত্তি লাফিয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।
নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামায় অনুরাগ জানিয়েছেন, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০.৭ কোটি টাকা। বিমাখাতে বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে মোট নয়টি পলিসি, যার চূড়ান্ত দেয় পরিমাণ ৬৬.৪৫ লক্ষ টাকা। শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে তাঁর লগ্নি প্রায় ২৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালে এই দুই খাতে তাঁর মোট লগ্নি ছিল ৭৯ লক্ষ টাকা। সেখানে এবার তাঁর শেয়ারে লগ্নি হয়েছে ৪৭.৩৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে মিউচুয়াল ফান্ডের লগ্নি বেড়ে হয়েছে আড়াই কোটি টাকা!
আগ্নেয়াস্ত্র শুধু অনুরাগের নামে আছে এমন নয়। তাঁর স্ত্রী শেফালির কাছেও রয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, যার দাম প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা।
অনুরাগের স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে হিমাচল প্রদেশে রয়েছে কৃষিজমি, যার বাজার মূল্য আড়াই কোটি টাকা। পাঞ্জাবের জলন্ধর ও কপূরথালায় অনাবাদি জমিও রয়েছে, যার দাম এক কোটির কাছাকাছি। জলন্ধরে তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে, যার দাম ১.৮৯ কোটি টাকা। এছাড়া তাঁর ১.৪৩ কোটি টাকার ঋণ আছে।
হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর থেকে এই নিয়ে পঞ্চমবারের জন্য প্রার্থী হলেন অনুরাগ। এই আসনে ২০০৮ থেকে টানা জিতে আসছেন অনুরাগ। হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, অনুরাগের বাবা প্রেমকুমার ধূমল এককালে এই আসনে সাংসদ ছিলেন। ২০০৮ সালে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ায় তাঁর ছাড়া আসনে জিতে আসেন অনুরাগ। এখন তিনি মোদী সরকারের অন্যতম নির্ভরযোগ্য মন্ত্রী। পাশাপাশি ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবেও বিসিসিআইয়ের শীর্ষ পদে ছিলেন তিনি।