শেষ আপডেট: 6th September 2024 15:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একের পর এক শিশুকে খেয়ে ফেলে ও ২৫ জনেরও বেশি মানুষকে জখম করে উত্তরপ্রদেশের বহরাইচের আমজনতার ঘুম কেড়ে নিয়েছে নেকড়ের পাল। ক'দিন আগের ৩ বছরের এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। আর এবার ঘরে ঢুকে ১২ বছরের বালককে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল মানুষখেকো নেকড়ে। গুরুতর জখম হয়েছে সে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিজের ঘরেই ঘুমোচ্ছিল ওই নাবালক। আচমকাই ঘরে ঢুকে তার ঘাড় কামড়ে ধরে তাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে একটি নেকড়ে। প্রচণ্ড চিৎকারে নাবালকের পরিবারের বাকিরা সজাগ হয়ে যায়। হইচই সৃষ্টি হলে নেকড়েও ভয় পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে ওই নাবালক। তবে স্বস্তির খবর, তার অবস্থা সঙ্কটজনক নয়।
অন্যদিকে, বাড়ির বাইরে খেলছিল আট বছরের বালক। সেই সময় আচমকা হামলা চালায় নেকড়ে। আহত অবস্থায় ওই বালককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি শুক্রবার মাহসিলের।
উত্তরপ্রদেশের বন দফতর মানুষখেকো নেকড়ে ধরতে ‘অপারেশন ভেড়িয়া’ অভিযান চালু করেছে। চারটি নেকড়ে ধরা পড়লেও বাকি দুটোকে ধরতে অভিনব পন্থা নিয়েছে বন দফতরের আধিকারিকরা। একেবারে সিনেমার কায়দাত পুতুল কিনে বাচ্চাদের মূত্রে ভিজিয়ে ফাঁদ পেতেছেন তাঁরা। পাশাপাশি থার্মাল ড্রোন দিয়ে নেকড়েদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। বাজি ফাটিয়ে, আওয়াজ তৈরি করে যেখানে ফাঁদ পাতা হয়েছে সেদিকে তাড়া করা হচ্ছে তাদের।
মোদী সরকারের একদা ‘ন্যাশনাল চিতা অ্যাকশন প্ল্যান’-এর প্রধান তথা বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ যাদবেন্দ্রনাথ ঝালা অবশ্য মনে করেন, এই কাজ সম্ভবত নেকড়েদের নয়। তাঁর মতে, নেকড়ে লাজুক প্রকৃতির প্রাণী। মানুষকে আক্রমণের ঘটনাও কম। কিন্তু এখন এই ঘটনা কেন ঘটছে? বন দফতরের দাবি, মানুষের দ্বারা কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই নেকড়ের পাল। তারই 'প্রতিশোধ' নিচ্ছে তারা। নেকড়েদের ধরতে ইতিমধ্যেই ২২টি দল গড়া হয়েছে। সেই দলে আছেন নিশানায় দক্ষ শিকারি এবং বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া ড্রোন, নাইট ভিশন্স-সহ নানা আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে নজর রাখা হচ্ছে নেকড়েদের ওপর।