প্রতীকী চিত্র
শেষ আপডেট: 26 March 2024 09:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার তৈরির আঁতুড়ঘর রাজস্থানের কোটায় ফের পড়ুয়ার আত্মহত্যা। ভারতের উচ্চশিক্ষার কোচিং হাব কোটায় একের পর এক ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় শিউরে উঠছে শিক্ষাসমাজ। কিন্তু, কোচিং সেন্টারগুলির অত্যধিক চাপের মুখে ভেঙে পড়ে হতাশায় একটি একটি করে তরতাজা মেধাবী প্রাণ ঝরে পড়ছে। ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্ট বা নিট নামে পরিচিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এক যুবক মঙ্গলবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকালে উরুজের বাবা-মা ফোন করেছিলেন। কিন্তু ফোন বেজে যাচ্ছিল। তখন তাঁরা জওহর নগরে থাকা ছেলের বন্ধুদের ফোন করেন। খবর পেয়ে বন্ধুরা উরুজের ভাড়াবাড়িতে চলে আসেন। বাড়িওয়ালা এবং নিরাপত্তারক্ষীকে বলা হয়। দরজা ভেঙে দেখা যায় উরুজ পাখার সঙ্গে ঝুলছেন।
উল্লেখ্য, এ বছরের প্রথম তিন মাসে এ নিয়ে ৭টি প্রাণ বলি চড়ল উচ্চশিক্ষার দৌড়ে পাল্লা দিতে না পেরে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ১৫ জন, ২০১৯ সালে ১৮ জন, ২০১৮ সালে ২০, ২০১৭-তে ৭, ২০১৬-তে ১৭, ২০১৫ সালে ১৮ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে কোটায়। শুধুমাত্র ২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিডের কারণে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকায় কোনও প্রাণ যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০ বছরের উরুজ খান উত্তরপ্রদেশের কনৌজের বাসিন্দা। এদিন সকালে তাঁর ভাড়া নেওয়া ঘরের পাখা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় উরুজকে। বিজ্ঞান নগর এলাকায় একটি ঘরভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। সোমবার রাতে তিনি গলায় দড়ি দেন বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান।
উরুজের আত্মহত্যার কথা প্রথম জানতে পারেন ওই বাড়ির গার্ড। তিনিই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কাছের এমবিএস হাসপাতালে পাঠায়। পরিবারের লোককে খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এলে ময়না তদন্ত হবে। উরুজ অনেকদিন ধরেই কোটায় থাকলেও এই বাড়িতে মাত্র দিন ২০ আগে এসেছিলেন। তবে আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে পুলিশ এখনও অন্ধকারে।
মার্চের গোড়ার দিকে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের এক পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছিলেন। তাঁর নাম অভিষেক কুমার। তিনি বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা ছিলেন। এই এলাকারই অন্য একটি বাড়িতে তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন।