শেষ আপডেট: 14th April 2025 11:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগুনের হাত থেকে ছেলের প্রাণরক্ষা হওয়ায় তিরুমালা মন্দিরে কেশমুণ্ডন করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণের কট্টর রুশ খিস্টান স্ত্রী অ্যানা কোনিডেলা। অন্ধ্রের শাসক জোটের শরিকদল জনসেনা পার্টির নেতা পবন কল্যাণের স্ত্রী অ্যানা তাঁদের ছেলে মার্ক শঙ্কর সিঙ্গাপুরের সামার ক্যাম্পে যোগ দিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন। গত ৮ এপ্রিলের ওই দুর্ঘটনায় মার্কের হাত পুড়ে যায় এবং ধোঁয়া ফুসফুসে ঢুকে গিয়ে জখম ও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখনই ছেলের প্রাণরক্ষায় তিরুপতি বালাজির কাছে মানত করেছিলেন মা অ্যানা।
রবিবার জনসেনা পার্টির তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঐতিহ্য বজায় রেখে অ্যানা পদ্মাবতী কল্যাণ কাট্টায় তাঁর কেশমুণ্ডন করেন। এবং এই অনুষ্ঠানের প্রথা মেনে পুজোআচ্চাও দেন। স্কুল পড়ুয়া নাবালক ছেলের দুর্ঘটনায় তার জন্য মানত করেছিলেন রুশ অর্থডক্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যানা। মস্তকমুণ্ডনের শেষে তিনি বিগ্রহের সামনে আরতি করেন ও পুজো-অঞ্জলিও দেন।
তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের বিধি অনুযায়ী কেশমুণ্ডনের আগে 'বিধর্মী' হওয়ার কারণে অ্যানাকে একটি ঘোষণাপত্রে সই করতে হয়। মন্দির কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে গায়ত্রী সদনে তিনি সেই ঘোষণাপত্রে সই করেন। যাতে লেখা থাকে ভগবান বেঙ্কটেশ্বরের প্রতি তাঁর বিশ্বাস ও আস্থা আছে এবং তিনি হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী। মন্দিরে প্রবেশ ও আচার-অনুষ্ঠানের আগেই এটা করে নিয়ে ঢুকতে পারেন তিনি।
সিঙ্গাপুরে যে স্কুলে মার্ক পড়ে সেই স্কুলের সামার ক্যাম্পে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। তাতে সাত বছর বয়সি শঙ্করের শরীরে কিছু অংশ পুড়ে যায়। ফুসফুসে ধোঁয়া ঢুকে যাওয়ায় সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পাওয়া মাত্রই জনসেনার সভাপতি পবন কল্যাণ গিয়ে ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তারপর একটু সুস্থ হতেই মানত মেনে তিরুপতির কাছে চুল দেন অ্যানা।