শেষ আপডেট: 7th February 2024 16:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কৃষ্ণা নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে বিষ্ণুমূর্তি এবং শিবলিঙ্গ। কর্ণাটকে সেতু নির্মাণের সময় মূর্তিগুলি পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হওয়া বিষ্ণুমূর্তির সঙ্গে অযোধ্যার রামলালার মিল খুঁজে পেয়েছেন স্থানীয়রা।
তেলেঙ্গানা-কর্নাটক সীমানায় রাইচুর জেলার দেবাসুগুর গ্রামের কাছে একটি সেতু তৈরির কাজ চলছিল। নির্মাণকাজ চলাকালীনই কৃষ্ণা নদী থেকে কয়েক শতক পুরনো বিষ্ণুর মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে মিলেছে শিবলিঙ্গও। পাথরের খোদাই করা মেটে রঙের বিষ্ণুমূর্তিটি অযোধ্যার রামের বিগ্রহের মতো বলেই দাবি স্থানীয়দের।
সেতু নির্মাণকারীরা মূর্তি এবং শিবলিঙ্গটি উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিষ্ণুমূর্তির সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে নবনির্মিত অযোধ্যার রামলালার। আর এই মূর্তি উদ্ধারের পরই ওই এলাকায় হইচই পড়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে উদ্ধার হওয়া মূর্তিগুলি দেখতে ছুটে আসেন এলাকাবাসীরা। এমনকী শোরগোলের কারণে সেতু নির্মাণের কাজ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হয়।
এ প্রসঙ্গে প্রাচীন ইতিহাস এবং প্রত্নতত্ত্বের অধ্যাপক পদ্মজা দেশাই জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া মূর্তির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন মূর্তির চারধারে বিষ্ণুর দশ অবতারের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। মূর্তির চারপাশে রয়েছে মৎস্য, কুর্ম, বরাহ, নরসিংহ, বামন, রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ এবং কলকি- এই দশটি অবতার। একইসঙ্গে এই মূর্তি তৈরির ধরন বলে দিচ্ছে, এটি বহু প্রাচীন।
প্রত্নতত্ত্ববিদদের দাবি, সম্ভবত এই মূর্তি একাদশ অথবা দ্বাদশ শতাব্দীতে তৈরি। কোনও একটি মন্দিরের গর্ভগৃহেই মূর্তি ছিল বলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান। সেক্ষেত্রে হয়তো পরবর্তীকালে কোনও কারণে মূর্তিগুলি নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অথবা নদী ভাঙনের কারণে মন্দির তলিয়ে যেতে পারে বলেও আন্দাজ করা হচ্ছে। দু’টি মূর্তিই উদ্ধারের পর ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া)-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।