শেষ আপডেট: 6th March 2025 16:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে (AMU) হোলি মিলন উৎসব পালনের অনুমতি না দেওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে কিছু ছাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন। অনুমতি না পেলে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে তুলে ধরার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
AMU-র স্নাতকোত্তরের ছাত্র অখিল কৌশল ২৫ ফেব্রুয়ারি এই বিষয়ে অনুমতির জন্য আবেদন করেন। হিন্দু ছাত্রদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর ওয়াসিম আলির কাছে উপাচার্যের উদ্দেশে একটি চিঠি জমা দেওয়া হয়। ৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের NRSC ক্লাবে হোলি মিলন অনুষ্ঠানের আয়োজনের অনুমতি চাওয়া হয় চিঠিতে।
অখিল কৌশল বলেন, “আমাদের কাছে ওই মিটিংয়ের অডিও ও ভিডিও রেকর্ডিং রয়েছে। যদি অনুমতি না দেওয়া হয়, তবে আমরা সেই রেকর্ডিং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেব। AMU-তে অন্যান্য ধর্মের অনুষ্ঠান হয়, তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে হিন্দু ছাত্রদের হোলি মিলন অনুষ্ঠান করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই AMU-কে ‘মিনি ইন্ডিয়া’ বলেছেন। ভারত সব ধর্মকে সম্মান জানায়। তাই উপাচার্য নাইমা খাতুনেরও সব ধর্মের প্রতি সমান সম্মান দেখানো উচিত। অনুমতি না পেলে আমরা এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনব।”
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর ওয়াসিম আলি জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয় না। আগেও ছাত্ররা হোলি পালন করেছেন, তবে নির্দিষ্ট জায়গায় বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য কখনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, “ছাত্ররা হোস্টেল বা ক্যাম্পাসে হোলি খেলতে পারেন, কিন্তু কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না।”
এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেশ কয়েকটি হিন্দু সংগঠন। অল ইন্ডিয়া করনি সেনা এই বিষয়ে প্রতিবাদ মিছিলও করেছে। মিছিলে ‘AMU-র একনায়কতন্ত্র চলবে না’ স্লোগান ওঠে। করনি সেনার সদস্যরা বলেন, AMU-তে সব ধর্মের উৎসব সমানভাবে পালনের অনুমতি দেওয়া উচিত।
এদিকে, সমাজবাদী পার্টির নেতা অশুতোষ ভার্মা বলেন, “কেউ যেন উৎসব পালনে বাধা না পায়, তা নিশ্চিত করা উচিত।” উত্তরপ্রদেশের পর্যটনমন্ত্রী জয়বীর সিং জানান, “যদি কোনও বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ধর্মকে সমর্থন করে এবং অন্য ধর্মের উৎসব পালনে নিষেধাজ্ঞা দেয়, তবে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।”